ধোনি ব্রিগেডের অভিজ্ঞ স্পিনার হরভজন সিংহ বল হাতে ভেল্কি দেখালেন। চার ওভারে একটি মেডেন সহ ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন তিনি। তিনিই ফেরালেন কিংস ইলেভেনের বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলকে। প্রথম ওভারে কোনও রান দেননি। সেইসঙ্গে দুই ব্যাটসম্যানকে আউট করেন ভাজ্জি। এভাবে জোড়া উইকেট মেডেন ওভার দিয়ে স্পেল শুরু করেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন স্পিনার। কিংস ইলেভেনের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে যে ধাক্কা হরভজন হানেন, তা আর তারা সামলে উঠতে পারেনি।
গেইলকে আউট করার দুই বল পরেই মায়াঙ্ক আগরওয়াল ফাফ ডু প্লেসির হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
এরপর রাহুল ও সরফরাজের জুটি ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছিল।
রবীন্দ্র জাডেজা (৪-০-২৪-০) এবং ইমরান তাহির (৪-০-২০-০) কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ব্যাটসম্যানদের ওপর রাশ টেনে রাখেন। তাঁরা সহজে রান করার সুযোগ দেননি ব্যাটসম্যানদের। ভাজ্জি সহ চেন্নাইয়ের তিন স্পিনার ১২ ওভারে মাত্র ৬১ রান দেন। ফলে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের প্রয়োজনীয় রানের হার বাড়তেই থাকে।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই বেশ স্বচ্ছন্দে ইনিংস গড়ছিল। ১৩ ওভারে তাদের রান ছিল ১ উইকেটে ৯৮। পাওয়ার প্লে-তে কোনও উইকেট না হারিয়ে তারা ৫৪ রান করেছিল। এরপর শেন ওয়াটসন (২৬)-কে আউট করে অশ্বিন ওপেনিং জুটি ভাঙেন। পরে ডুপ্লেসিস (৩৮ বলে ৫৪)-ও অশ্বিনের শিকার হন। ১৭ রান করে রায়নাও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। অশ্বিন চার ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। চেন্নাইয়ের রানের গতি অশ্বিনের বোলিংয়ে আটকালেও শেষপর্যন্ত ধোনি ও অম্বাতি রায়ডুর জুটি শেষ পাঁচ ওভারে ৫২ রান যোগ করে দলের স্কোর ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দেয়।
ধোনি ২৩ বলে ৩৭ ও রায়ডু ১৫ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। চেন্নাই করে ৩ উইকেটে ১৬০ রান। জবাবে ৫ উইকেটে ১৩৮ রান করে কিংস ইলেভেন।