চেন্নাই: একই মরশুমে এক দলের কাছে তিনবার হার। ১১ বছরের আইপিএল ইতিহাসে চেন্নাইয়ের ট্র্যাক রেকর্ডে এমন পরিসংখ্যান  বিরল। চলতি আইপিএল-এ লিগ ম্যাচে মুম্বইয়ের কাছে দু-বারই পরাস্ত হয়েছে তাঁরা। ওয়াংখেড়েতে প্রথম মোকাবিলায় ৩৭ রানে হার চেন্নাইয়ের। দ্বিতীয় মোকাবিলায় ঘরের মাঠেই ৪৬ রানে হারেন ধোনিরা। মঙ্গলবার প্রথম কোয়ালিফায়ারেও হারল হলুদ ব্রিগেড। ব্যাটিং বিফলতা, অসফল বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে একের পর এক ক্যাচ মিস, আপাত দৃষ্টিতে এই সবমিলিয়েই হার হয়েছে মাহিদের।


ক্যাপ্টেন কুল নিজেও মানছেন, ঘরের মাঠের অ্যাডভান্টেজ নিতে পারেনি তাঁর দল। এতগুলো ম্যাচ খেলার পরও চিপকের পিচ পড়তে পারেননি ব্যাটসম্যানরা।  ক্রুণাল, চাহারের স্পিনের সামনে কার্যত অসহায় দেখিয়েছে ওয়াটসন, ডু প্লেসিস, রায়না, বিজয়দের। স্পিন সহায়ক উইকেটের হালহকিকত না বোঝার ফলেই ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে স্রেফ ১৩১ রানই তুলতে পারে ধোনিরা। ধোনি মানছেন, ব্যাটসম্যানরা ভুল শট খেলে উইকেট দিয়ে এসেছেন। পিচের মধ্যে আঠাল ভাব আছে কিনা, বল থেমে থেমে আসছে কিনা,  তা না বুঝেই শট নিয়েছে ব্যাটসম্যানরা। ঘরের মাঠে ব্যাটিং ভাল হওয়া উচিত ছিল, মত চেন্নাই অধিনায়কের।


এরপর বোলিংয়েও হতাশ করেছেন হরভজন, তাহিররা। অফ স্টাম্পের বাইরের স্পট, যেখানে ব্যাটসম্যানদের অসুবিধা হতে পারত সেটা জাদেজা ছাড়া আর কেউ ধরতেই পারেনি। মাঝে কয়েকটা সুযোগও তৈরি করলেন তিনি। তবে ক্যাচ মিস হওয়ায় ম্যাচটাই হাতছাড়া হয়ে যায়। একার জোরে দলকে ফাইনালে নিয়ে গেলেন সূর্যকুমার যাদব (৭১*)। ধোনি স্বীকার করে নিয়েছেন, ১৩০ রান ডিফেন্ড করতে নেমে এভাবে ক্যাচ ফেললে জেতা কঠিন হয়ে যায়। আর হলও তাই।


প্রসঙ্গত, শেষ ৬ ম্যাচে ৪টি-তেই হেরেছে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল। তবে প্রথম দুইয়ে থাকার সুবাদে আরও একটা সুযোগ পাচ্ছে তাঁরা। বুধবার দিল্লি ও হায়দরাবাদের মধ্যে জয়ী দলের বিরুদ্ধে খেলবে চেন্নাই। ধোনি বলছেন, “এই জায়গায় এসে ম্যাচ হারা কখনই ভাল নয়। তবে আমরা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছি, তার জন্য আরও একটা সুযোগ পাব।”