টুর্নামেন্টের ১০ নম্বর ম্যাচে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দলের জয় কার্যত নিশ্চিত বলেই মনে হচ্ছিল। কারণ, একটা সময় জয়ের জন্য ২০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রোহিত শর্মার দলের শেষ পাঁচ ওভারে দরকার ছিল ৯০ রান। আস্কিং রেট ১৮। অর্ধেক দলই তখন ফিরে গেছে প্যাভিলিয়নে। এমনই কঠিন পরিস্থিতিতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিল দুরন্ত পাওয়ার হিটিং। টাই হয়ে গেল ম্যাচ। এরপর ম্যাচ গড়াল সুপার ওভারে।
পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও হাল ছাড়েননি মুম্বইয়ের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ঈশান কিষান। রোহিত শর্মা, কুইন্টন ডি কক ও হার্দিক পটেলদের উইকেট নিয়মিত ব্যবধানে হারালে স্কোরবোর্ড সচল রেখেছিলেন তিনি। শেষপর্বে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার কায়রন পোলার্ডের সঙ্গে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ে ম্যাচের রঙ পাল্টে দেন তিনি।
কিষাণ ও পোলার্ড জুটি ৩০ বলে ৯০ রান করে নির্ধারিত ২০ ওভারে আরসিবি-র ২০১ রানের স্কোরে পৌঁছে দেন দলকে। শেষপর্যন্ত সুপার ওভারে হারতে হল মুম্বইকে। দল হারলেও ঈশানের আইপিএলে কেরিয়ারের সেরা ৯৯ রানের ইনিংস টি ২০ প্রেমীদের মন জিতে নিয়েছে।
বাইশ গজে পোলার্ডকে সঙ্গত দেওয়ার কাজটা করছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে শেষপর্বে তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিংও বিশাল রানের স্কোর তাড়া করে সমতা এনে দেওয়ার কাজে সহায়ক হয়।
১৬ তম ওভারে আরসিবি বোলার নভদীপ সাইনির বলে ১০ রান নিয়ে রানের তোলার গতি বাড়াতে শুরু করে পোলার্ড-ঈশান জুটি। ১৭ তম ওভারে লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পাকে পিটিয়ে ২৭ রান তোলেন পোলার্ড। মুম্বই ম্যাচে লড়াইয়ে ফিরে আসে।
১৮ তম ওভারে যুজবেন্দ্র চাহলের বলে দুটি ছক্কা হাঁকান পোলার্ড। ঈশানও একটি ওভারবাউন্ডারি হাঁকান। ওই ওভারে ওঠে ২২ রান।
১২ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩১ রান। ঈশান একটি ছয় হাঁকালেও ১৯ তম ওভারে খুব বেশি রান তুলতে দেননি সাইনি। শেষ ওভারে মুম্বইয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। শ্রীলঙ্কার পেসার ইসুরু উডানাকে দুটি ছয় হাঁকিয়ে দলকে জয়ের লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছে দেন। এরপর ব্যক্তিগত ৯৯ রানে আউট হয়ে যান তিনি। ওভারের শেষ বলে ছয় হাঁকিয়ে আরসিবি-র স্কোরের সঙ্গে সমতা আনেন পোলার্ড।
সৌরভ তিওয়ারির চোট থাকায় দলে সুযোগ পেয়ে তা দারুণভাবে কাজে লাগালেন ঈশান।
মাত্র ১ রানের জন্য দুরন্ত একটা সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হলেন তিনি। ৫৮ বলে ৯ টি ছয় ও দুটি বাউন্ডারির সাহায্যে আইপিএলে ৯৯ রানের ইনিংসের ক্লাবে ঢুকলেন ঈশান।
এখনও পর্যন্ত আইপিএলে ৯৯ রানের ইনিংস
সুরেশ রায়না* ২০১৩-তে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে
বিরাট কোহলি ২০১৩-তে দিল্লি ডেয়ার ডেভিলসের বিরুদ্ধে
পৃথ্বী শ ২০১৯-এ কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে
ক্রিস গেইল ২০১৯-এ আরসিবি-র বিরুদ্ধে
ইশান কিষান ২০২০, আরসিবি-র বিরুদ্ধে