নয়াদিল্লি: এবারের আইপিএলে পর পর হারের ধাক্কা কাটিয়ে শেষপর্যন্ত ঘুরে দাঁড়াল চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে)। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে গতকালের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (এসআরএইচ)-কে ২০ রানে হারিয়েছে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সিএসকে। টুর্নামেন্টে এই নিয়ে তিনটি ম্যাচে জিতল। ফলে প্লেঅফে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখল চেন্নাই।
ওয়ার্নারের নেতৃত্বাধীন হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য বিশেষজ্ঞরা ধোনির প্রশংসা করেছেন। সেইসঙ্গে ম্যাচের একেবারে শেষপর্বে একটা বিতর্কিত ঘটনা ঘটে। আর তা আম্পায়ার পল রাইফেল ও ধোনির মধ্যে এই ঘটনা সবার নজর কেড়ে নেয়।
সানরাইজার্সের ইনিংসের ১৯ তম ওভারে ওই ঘটনা ঘটে। জয়ের জন্য ১৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করছিল ওয়ার্নারের দল। ১৯ তম ওভারে শার্দুল ঠাকুরের একটা বল ওয়াইড ডাকতে গিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। সিমারের একটা ইয়র্কার দৃশ্যতই ট্রাম লাইনের বাইরে দিয়ে চলে যায়। আম্পায়ার ওই বলে ওয়াইডের সঙ্কেত দিতে গিয়েও মাঝপথে থমকে যান।

টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা গিয়েছে, আম্পায়ার যখন ওয়াইড ডাকতে চলেছেন, তখনই ক্ষুব্ধ হয়ে এর প্রতিবাদ করেন ধোনি। তিনি কিছুটা এগিয়েও আসেন এবং হাত দিয়ে আপত্তির ভঙ্গি করেন। ধোনির এই মনোভাব দেখেই হয়ত আম্পায়ার তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেন।

আইপিএলের ম্যাচ প্লেয়িং কন্ডিশন অনুসারে, আম্পায়ার দ্রুত কোনও সিদ্ধান্ত করতে চাইলে তা তৎক্ষণাৎ করতে পারেন। এছাড়াও আম্পায়ার একবার কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তাই-ই চূড়ান্ত।
ধারাভাষ্যকারও ধোনির ওই আচমকা উত্তপ্ত প্রতিক্রিয়া দেখে অবাক হয়ে যান। ম্যাচ চলাকালে কেভিন পিটারসেনকে বলতে শোনা যায়, আমি একেবারেই নিশ্চিত তিনি (আম্পায়ার) হাত তুলতে শুরু করেছিলেন। তখন তাঁকে লক্ষ্য করে প্রচুর চিৎকার করা হয়। এরপরই সিদ্ধান্ত ঘোষণা থামিয়ে দেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ইউজার প্রশ্ন তুলেছেন, এমন করেও কি ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড পাবে সিএসকে।



আবার কেউ কেউ  বলেছেন, এই ঘটনায় ধোনির কিছু করার ছিল না। পুরোটাই আম্পায়ারের ত্রুটি।