মুম্বই: মহারাষ্ট্রে ঝড়ের গতিতে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন আইপিএলের ম্যাচ মুম্বইতে আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম আইপিএলের ১৪ তম সিজনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এরইমধ্যে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, ওয়াংখেড়ে থেকে ম্যাচ সরানোর কোনও পরিকল্পনা নেই। তিনি বলেছেন, আসন্ন আইপিএলে সমস্ত কিছুই নির্ধারিত সূচী অনুসারেই হবে। 


 


সৌরভ বলেছেন, মুম্বইয়ে আইপিএলের ম্যাচ হবে। একবার বায়ো-বাবলে ঢুকে পড়লে আর কোনও ফারাক হয় না।সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে গতবার এমনই হয়েছিল। কিন্তু সব কিছু ঠিকঠাকই হয়েছিল। টুর্নামেন্টের সফল আয়োজন সম্ভব হয়েছিল।



উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় সপ্তাহান্তে লকডাউনের ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। এরই প্রেক্ষাপটে বোর্ড সভাপতি জানালেন, সমস্ত কিছুই হবে নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী। 
মহারাষ্ট্রে শুক্রবার রাত ৮ টা থেকে সোমবার সকাল সাতটা পর্য্ন্ত লকডাউন চলবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী নবাব মালিক। এক্ষেত্রে অত্যাবশ্যক পরিষেবা, বাস, ট্রেন ও ট্যাক্সি সহ পরিববহণের ক্ষেত্রে অনুমতি থাকবে।  রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 



ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আইপিএলের আসন্ন সিজনে ১০ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে ১০ টি ম্যাচ হওয়ার কথা। ওয়াংখেড়েতে এবারের আইপিএলের প্রথম ম্যাচ ১০ এপ্রিল দিল্লি ক্যাপিটালস ও চেন্নাই সুপার কিংসের মধ্যে। 



দিল্লি ক্যাপিটালস, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, পঞ্জাব  কিংস ও রাজস্থান রয়্যালস-এই চারটি দল এখনও পর্যন্ত মুম্বইয়ে তাদের শিবির গড়েছে। পঞ্চম ফ্র্যাঞ্জাইজি হিসেবে কলকাতা নাইট রাইডার্সও বর্তমানে মুম্বইতেই রয়েছে। কিন্তু খুব শীঘ্রই তারা আগামী ১১ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে চেন্নাইতে উড়ে যাবে। 



বোর্ড আইপিএলের আগে খেলোয়াড়দের টিকাদানের ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করছে। বিসিসিআই সহ সভাপতি রাজীব শুক্লা জানিয়েছেন, প্লেয়ারদের টিকাদানের বিষয়টি নিয়ে বোর্ড কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তিনি বলেছেন, যেভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, সেক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের টিকাকরণই একমাত্র সমাধান বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্লা বলেছেন, করোনার বিপদ কখন কাটবে কেউ জানে না। এ ব্যাপারে কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। কাজেই আমাদের খেলোয়াড়দের টিকাকরণের বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে। 



শুক্লা জানিয়েছেন, বিসিসিআই এই বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছে। এক্ষেত্রে অবশ্যই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।