চেন্নাই: দলে যশপ্রীত বুমরা, ট্রেন্ট বোল্টের মতো ক্রিকেট বিশ্বের সমস্ত ব্যাটসম্যানদের কাছে সম্ভ্রম কুড়িয়ে নেওয়া বোলার। অথচ সেরা বোলিংটা করে গেলেন রাহুল চাহার। চার ওভারে চার উইকেট। শিকারের তালিকায় কারা? নীতিশ রানা, শুভমন গিল, রাহুল ত্রিপাঠি ও ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অইন মর্গ্যান। খরচ করলেন মাত্র ২৭ রান। স্বাভাবিকভাবেই মঙ্গলবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের নাটকীয় জয়ের রাতে ম্যাচের সেরার স্বীকৃতি ছিনিয়ে নিয়েছেন রাহুল।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর রাজস্থানের ২১ বছর বয়সী লেগস্পিনার উচ্ছ্বসিত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে নিয়ে। অধিনায়কের আস্থাই তাঁর সেরাটা বার করে আনছে যে! অল্প রানের পুঁজি, কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে হাতে বল তুলে দেওয়ার সময় অধিনায়ক রোহিত শর্মা কী বলেছিলেন? এবিপি লাইভের প্রশ্নে চেন্নাই থেকে জুম কলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের তরুণ লেগস্পিনারের সরল জবাব, 'রোহিত ভাই আমাকে বলেছিল, তোর বলের স্পিন আমিই ধরতে পারি না, তো কেকেআর! সঠিক জায়গায় নির্ভুল লাইন-লেংথে বল করে যা। আমি জানি স্পিনাররাই এই ম্যাচ ঘোরাবে। রোহিত ভাইয়ের এই কথাগুলো খুব উৎসাহিত করেছিল আমাকে।'
ক্রিকেট মাঠে পরিবেশ বাঁচানোর আর্জি, মন জিতলেন রোহিত
অদ্ভুত হেয়ারস্টাইল। মাথায় ছোট ছোট বিনুনির সারি। সাধারণত ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারদের যেরকম হেয়ারস্টাইল দেখা যায়। ইংল্যান্ডের পেসার জোফ্রা আর্চারের যে হেয়ারস্টাইল রয়েছে। রাহুলের কথাবার্তা অবশ্য ভীষণ সাদামাটা। আইপিএলের গ্রহে নিজের সারল্য হারাননি। ম্যাচের শেষে উপস্থাপকদের তরফ থেকে বলে দেওয়া হয়েছিল, রাহুলকে যা প্রশ্ন করা হবে, সবই যেন হিন্দিতে করা হয়। কারণ, ইংরেজিতে ততটা সড়গড় নন। তবে ব্যাটসম্যানেরা তাঁর ঘূর্ণির সামনে যে একেবারেই স্বচ্ছন্দ নন, মঙ্গলবার চেন্নাইয়ের এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে বারেবারে তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ২৪ বলের মধ্যে ১১টি ডট বল করেছেন। হজম করেছেন মাত্র দুটি চার ও একটি ছক্কা।
বলা হয়, যে কোনও স্পিনারের সাফল্যের নেপথ্যে প্রয়োজন হয় অধিনায়কের আস্থার। লেগস্পিনার হলে যা আরও বড় সঞ্জীবনী হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, ক্রিকেটবোদ্ধারা বলে থাকেন, লেগস্পিনারের বলের ধাঁচই এমন যে, রান বেশি ওঠে। বাড়ে উইকেট নেওয়ার সুযোগ।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা যে সেই দর্শন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই হয়তো প্রশয়ের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর সতীর্থ লেগস্পিনারকে নিয়ে কিন্তু আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।