কলকাতা: বল হাতে ব্যাটারদের নাস্তানাবুদ করতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। এবার তবে মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গেই নজির গড়লেন রশিদ খান। আইপিএলে আজ কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছে গুজরাত টাইটান্স। ইডেনে সেই ম্য়াচে মাঠে নেমেই একশো আইপিএল ম্যাচ খেলার মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেললেন আফগান স্পিনার। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রথমবার আইপিএলে খেলেছিলেন রশিদ।


আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত খেলেছিলেন রশিদ। ২০২২ সাল থেকে গুজরাত টাইটান্সের হয়ে খেলছেন তারকা লেগি। ৯৯ ম্য়াচে ১২৬ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন রশিদ। ২০.৩১ গড়ে বোলিং করেছেন তিনি। ইকনমি রেট ৬.৫০। সেরা বোলিং ফিগার ৪/২৪।


শুধু বল হাতেই নয়, ব্য়াট হাতেও উল্লেখযোগ্য কিছু ম্যাচ খেলেছেন রশিদ। ৩২৬ রান করেছেন তিনি। গড় হয়ত বলার মত নয়, কিন্তু ১৫৪-র ওপর স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ ব্য়ক্তিগত ৪০। 


২০১৮ মরসুমে সেরা পারফরম্যান্স ছিল রশিদের আইপিএলে। ১৭ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়েছিলেন সেবার। সেবার ২১ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন একটি ম্যাচে। এবারও এখনও পর্যন্ত ১৪ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন তিনি গুজরাতের হয়ে। পার্পল ক্যাপের দৌড়েও রয়েছেন তিনি। 


দেরিতে শুরু গুজরাত বনাম কেকেআর ম্যাচ


ঘড়িতে তখন দুপুর আড়াইটে। ম্যাচের আগে ওয়ার্ম আপ করছেন দুই দলের ক্রিকেটারেরাই। গুজরাত টাইটান্সের (GT) ক্রিকেটার মহম্মদ শামিকে (Mohammed Shami) দেখা গেল বেশ খোশমেজাজে। সিএবির যুগ্মসচিব দেবব্রত দাসের সঙ্গে মাঠের ধারে দাঁড়িয়ে আড্ডা মারছিলেন।


আচমকাই মেঘের আড়ালে ঢাকা পড়লেন সূর্যদেব। আকাশ মুহূর্তে কালো হয়ে গেল। মনে হল, দুপুরেই যেন সন্ধ্যে নেমেছে কলকাতায়। মাঠের ফ্লাডলাইট জ্বেলে দেওয়া হল। প্রাকৃতিক আলো এতই কমে এল। কৃত্রিম আলোতেই দুই দল প্র্যাক্টিস সারছিল। টসও হল নির্ধারিত সময়ে। দুপুর তিনটেয়। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন গুজরাত টাইটান্সের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য


তারপরই বৃষ্টি নামল ঝমঝমিয়ে। মুহূর্তে ঢাকা হল গোটা ইডেন গার্ডেন্স (Eden Gardens)। হতাশ দর্শকরা। প্রায় ৭০ জন মাঠকর্মীকে নিয়ে মাঠ ঢাকার কাজের তদারকি করছেন ইডেনের কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়। যিনি বোর্ডের পিচ কমিটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রধানও। রয়েছেন বোর্ডের পিচ কমিটির প্রধান আশিস ভৌমিকও।


সাড়ে তিনটেয় ম্যাচ শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়। তবে যা পরিস্থিতি, তাতে ম্যাচ নির্ধারিত সময়ে শুরু করা যাবে না। বৃষ্টি থামলে মাঠের কভার সরানো হবে। মাঠ খেলার উপযুক্ত মনে হলে তবেই ম্য়াচ শুরুর করার সবুজ সংকেত দেবেন আম্পায়াররা।