সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার আঁচ কি দলের খেলায় পড়েছে? পন্টিং বলেছেন, 'আমার থেকেও স্টিভ ওয়র সঙ্গে সৌরভের প্রতিদ্বন্দ্বিতা চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল। আমরাও একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রচুর ম্যাচ খেলেছি। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের কথা আমি বিশেষ ভাবে মনে করাতে চাই। কিন্তু এখন এ সব অতীত।'
পন্টিং আরও বলেছেন, 'আমাদের মধ্যে এখন দারুণ সম্পর্ক। সে আমরা ভালো বন্ধু নাই বা ছিলাম। কিন্তু যখন একটা দলের হয়ে কেউ কাজ করে, তখন একসঙ্গে এক দিকেই ফোকাস রেখে এগিয়ে যেতে হয়। যা হওয়ার, তা হয়ে গিয়েছে। অতীত ভুলেই এগিয়ে যেতে হয়। একটা উদাহরণ দিই, আমি যখন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে গিয়েছিলাম, তখন আমার অন-ফিল্ড সবচেয়ে বড় প্রতিদ্ধন্দ্বী হরভজন সিংকে পাই। এরপর আমি যখন মুম্বইয়ে খেলি, অধিনায়ক হই, তখন ওর বোলিং ধরে ফেলি। ওকে জড়িয়ে ধরতাম। এটাই আইপিএলের ভালো ব্যাপার। আন্তর্জাতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন আর ততটাও শক্তিশালী ভাবে কাজ করে না, সবাই এক সঙ্গে কাজ করে।'
সৌরভ যে বিভিন্ন সংস্কার মেনে চলেন, সেটাও জানিয়েছেন রিকি। দিল্লি ক্যাপিটলসের প্রধান কোচ রিকি পন্টিং বলেছেন যে, দিল্লির ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় একটি খেলা চলাকালীন দল ভাল পারফরম্যান্স না করলে তাঁর আসন পরিবর্তন করে অন্য আসনে চলে যান। অর্থাৎ দল ভাল না খেললে নিজের জায়গা পরিবর্তন করেন সৌরভ। রিকি পন্টিং বলেছেন, ‘যখন পরিস্থিতি ফের ঘুরতে শুরু করে, ও ফিরে আসে এবং আমার পাশে বসে থাকে।' পন্টিং আরও বলেন, 'ও নিজের উদ্বেগটা তেমন প্রকাশ করে না, আমি যতটা করে থাকি। কিন্তু ও আমাদের বেশিরভাগের মতোই নার্ভাস থাকে।'
আরও পড়ুন: গরমের মরসুমে চুলের পাশাপাশি কীভাবে যত্ন নেবেন স্ক্যাল্পের? রইল কিছু সহজ টিপস
আরও পড়ুন: ৩ ম্যাচে ৪০ রান করে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন, সেই যশস্বীর ব্যাটেই আইপিএলে রেকর্ড