দিল্লি: ভারতীয়দের ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারদের প্রতি ভালবাসার বিষয়ে নতুন করে জানানোর আর তেমন কিছু নেই। অনেক সময় ক্রিকেটের প্রতি এই প্রবল ভালবাসার ফলে ভক্তরা নিজেদের আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না। যার ফলে অনেক অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে যায়। শনিবার, ২৯ এপ্রিল, দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে ঠিক এমনই এক একটা ঘটনা ঘটে গেল।


কোটলায় সংঘর্ষ


গতকাল ক্যাপিটালস-সানরাইজার্স ম্যাচে সমর্থকদের দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গ্যালারিভর্তি সমর্থকদের মাঝেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রবল হাতাহাতি হয়। শেষমেশ মাঠে উপস্থিত নিরাপত্তাকর্মীদের তৎপরতায় এই দুই গোষ্ঠীর লড়াই থামানো সম্ভব হয়। তবে ম্যাচ চলাকালীন এই ঝামেলার জেরে আশেপাশে উপস্থিত সমর্থকরা যে অশ্বস্তিতে পড়ে, তা বলাই বাহুল্য। গোটা ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে এই ঝামেলা শুরু হয়, সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছুই জানা যায়নি।


 






ম্যাচের বিবরণ


ফিলিপ সল্ট ও মিচেল মার্শের দুরন্ত ব্যাটিং দাপটের পরও শেষল্যাপ টপকাতে পারল না দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals)। টি নটরাজন, ভুবনেশ্বর কুমারদের দাপটে ৯ রানে ম্যাচ জিতল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (Sunriser Hydrabad)। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অভিষেক শর্মা ( ৬৭) ও হেনরিখ ক্লাসেনের (৫৩) জোড়া অর্ধশতরানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে ৬ উইকেটে ১৯৭ রান তোলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। জবাবে দারুণভাবে মাঝপথে এগোতে থাকলেও শেষপর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৮৮ রানেই থেমে যায় দিল্লির ইনিংস। বিফলে যায় ফিলিপ সল্ট (৫৯) ও মিচেল মার্শের দুরন্ত (৬৩) জোড়া অর্ধশতরান ও ১১২ রানের পার্টনারশিপ। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যর্থ হন দিল্লির অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার (০)। এবারের আইপিএলে আট নম্বর ম্যাচে এটি দিল্লির ষষ্ট হার। অপরদিকে, ৮ ম্যাচে তৃতীয় জয় হায়দরাবাদের।


প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মায়াঙ্ক আগারওয়াল (৫), রাহুল ত্রিপাঠী (১০), অধিনায়ক আইডেন মার্করাম (১০) থেকে হ্যারি ব্রুক (০) ব্যর্থ হলেও ওপেন করতে নেমে হায়দরাবাদকে দারুণ শুরু পাইয়ে দিয়েছিলেন অভিষেক শর্মা। ১২ টি চার ও ১ টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে ৬৭ রানের ইনিংসের পর অভিষেক ফিরে গেলে হায়দরাবাদের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন হেনরিক ক্লাসেন। ২ টি বাউন্ডারি ও ৪ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ২৭ বলে ঝোড়ো ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন ক্লাসেন। আবদুল সামাদ (২৮) ও  আকেল হোসেনের (১১) সুবাদে ১৯৭ রানের লড়াকু স্কোর খাড়া করে হায়দরাবাদ। 


জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওয়ার্নার ফিরে গেলেও সল্টের সঙ্গে দারুণভাবে দিল্লি ইনিংস টানতে শুরু করেন মিচেল মার্শ। বল হাতে ৪ উইকেট তুলে নেওয়ার পর ব্যাটহাতেও দারুণ দাপট দেখান মিচেল মার্শ। অস্ট্রেলিয় অলরাউন্ডার ৩৯ বলে ১ টি চার ও ৬ টি ছক্কার সাহায্যে ৬৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। দিল্লির ওপেনার ফিলিপ সল্টও ৩৫ বলে ৯ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। তবে প্রথমে সল্ট ও তার কিছুটা পরই মার্শ ফিরে যাওয়ার পর বড় ধাক্কা খায় দিল্লির রান তাড়া করা। আর কোনও ব্যাটারই সেভাবে রানের গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যাট চালাতে পারেননি। শেষপর্বে অক্ষর প্যাটেল (অপরাজিত ২৯) চেষ্টা চালালেও ১৮৮ রানে থামে দিল্লির ইনিংস।


আরও পড়ুন: শরীরচর্চার সময় আচমকাই 'অ্যাজমা অ্যাটাক'! এই সমস্যা এড়াতে কী কী নিয়ম মেনে চলবেন?