আমদাবাদ: পাশাপাশি গা ঘেঁষাঘেঁষি করে শুয়ে রয়েছে ১১টি পিচ। আর সেখানেই লুকিয়ে রহস্য।


কেন? কারণ ১১টি পিচের মধ্যে ৬টি পিচ গতিসম্পন্ন। যেখানে পেসারদের জন্য থাকবে বাড়তি বাউন্সও। বল পড়ে ভালভাবে ব্যাটে আসবে। বাকি ৫টি পিচ সুড়কির। কিছুটা মন্থর গতির। যেখানে স্পিনারদের জন্য থাকবে বাড়তি সাহায্য। বল পড়ে ঘুরবে।


কিন্তু ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগেও গুজরাত টাইটান্স (GT vs KKR) শিবির থেকে স্পষ্টভাবে বলা হয়নি যে, কোন পিচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে ম্যাচ খেলা হবে। কিছুটা ধন্দে কেকেআর শিবিরও। উইকেটের চরিত্র বুঝে টিম কম্বিনেশন ঠিক করা হবে। অথচ বাইশ গজের সঙ্গে এখনও পরিচয়ই হয়নি নাইটদের।


শনিবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এসেছিলেন বোলিং কোচ ভরত অরুণ। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ৬টি কালো মাটির পিচ, একটা লাল মাটির। পিচ কেমন দেখলেন? ভরত বলেন, 'উইকেট দেখিনি। জানি না কোন পিচে খেলা হবে। অবশ্যই ম্যাচের আগে উইকেট ভাল করে দেখব। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মটা থাকায় আমাদের হাতে বিকল্প রয়েছে। তিনজন বিস্ময়-স্পিনার নিয়ে নামতেই পারি। তবে খুব সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।'


তবে টস যে ফ্যাক্টর হবে না, জানিয়েছেন ভরত। বলেছেন, 'আমরা টস নিয়ে খুব একটা ভাবছি না। এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আমরা খুব ভাল প্রস্তুতি নিয়েছি। কাল বিকেলের খেলা। তাই টস খুব বড় ফ্যাক্টর হবে না।'


 




ইডেনে কেকেআরের আগের ম্যাচে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নেমে চমক দিয়েছেন সুয়াশ শর্মা। দিল্লির ক্রিকেটারের অভিষেক হয়েছে আগের ম্যাচেই। আর আরসিবি-র প্রবল শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপকে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছিলেন সুয়াশ। তুলে নিয়েছিলেন তিন উইকেট। গুজরাতের বিরুদ্ধেও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে তাঁকে ব্যবহার করতে পারে কেকেআর। নাইটদের বোলিং গুরু বলেছেন, 'সুয়াশকে কয়েকটা ম্যাচে দেখেছিলাম। খুব উত্তেজক ক্রিকেটার। দারুণ প্রতিভাবান। স্বপ্নের অভিষেক হয়েছে। ভিতটা দারুণ তৈরি হয়েছে। সময় বলবে কত তাড়াতাড়ি সব ধরনের পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে।'


আরও পড়ুন: গুজরাতের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগেই কেকেআরের শক্তি বাড়ল, দলে যোগ দিলেন রয়