চেন্নাই: প্লে অফে (IPL Play Off) ওঠা চার দলের মধ্যে সবচেয়ে লো প্রোফাইল লখনউ সুপার জায়ান্টস। চেন্নাই সুপার কিংস বা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (LSG vs MI) মতো ট্রফির সম্ভার নেই। গুজরাত টাইটান্সের মতো তারকার মেলা নেই। দলের সেরা ব্যাটার মার্কাস স্টোইনিস। অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে যিনি রয়েছেন ১৯ নম্বরে। দলের সেরা বোলার রবি বিষ্ণোই। পার্পল ক্যাপের দৌড়ে যিনি রয়েছেন ১১ নম্বরে। ভারতের কোনও সম্ভাব্য সুপারস্টার নেই দলে। নেই কোনও অভিজ্ঞ পেসার। বা রহস্য স্পিনার।


সবচেয়ে বড় কথা, টুর্নামেন্টের মাঝপথে ঊরুতে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছেন নিয়মিত অধিনায়ক কে এল রাহুল। তাঁর পরিবর্তে আচমকা অধিনায়ক করা হয়েছে ক্রুণাল পাণ্ড্যকে। আর তাঁর নেতৃত্বেই শেষ চার ম্যাচের মধ্যে তিনটি জিতে প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলেছে লখনউ সুপার জায়ান্টস।


বুধবার এলিমিনেটরে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মুখোমুখি লখনউ। যে ম্যাচে রেকর্ড লখনউয়ের দিকে। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে তিনবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। তিনবারই জিতেছে লখনউ। তবে এবার অন্য গ্রুপে থাকায় একবারই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে খেলতে হয়েছিল লখনউকে। ঘরের মাঠে সেই ম্যাচে ৫ রানে জেতে লখনউ।


লখনউয়ের ব্যাটিং বিদেশি নির্ভর। মার্কাস স্টোইনিস, নিকোলাস পুরান, কাইল মেয়ার্স ও কুইন্টন ডি'কক কেমন খেলেন, তার ওপর নির্ভর করে রয়েছে লখনউয়ের ইনিংস। রাহুলকে হিসাবের বাইরে রাখলে, দলের বাকি ভারতীয় ব্যাটাররা মাত্র দুটো হাফসেঞ্চুরি করেছেন। যেখানে বিদেশিরা করেছেন ১০টি হাফসেঞ্চুরি।


পাওয়ার প্লে বোলিংও উদ্বেগে রাখতে পারে লখনউ শিবিরকে। পাওয়ার প্লে-তে সবচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন লখনউ বোলাররা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিগহিটারদের বিরুদ্ধে নতুন বলে উইকেট তুলতে না পারলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে লখনউকে।


অন্য়দিকে, প্রধান ক্রিকেটারদের চোট আঘাত মুম্বই শিবিরকে বারবার বিব্রত করেছে। শুরুটা হয়েছিল যশপ্রীত বুমরাকে দিয়ে। চোটের জন্য দলের প্রধান পেসার টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন। তাঁর বদলে যাঁকে বোলিং বিভাগের মুখ ভাবা হচ্ছিল, সেই জোফ্রা আর্চারও ছিটকে গিয়েছেন। তবে ব্যাটে নেহাল ওয়াধেরা বা বলে আকাশ মাধওয়ালের মতো তরুণ ভরসা দিচ্ছেন মুম্বইকে। অবশ্য প্লে অফে ওঠাটা অনেকটা ভাগ্যের জোরে। গুজরাত টাইটান্স শেষ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে হারিয়ে দেওয়ায় প্লে অফের টিকিট পায় মুম্বই।

 

এই মরসুমে রান তাড়া করে সেরা দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সই। অন্যদিকে, হাতে রানের পুঁজি নিয়ে তা দিয়ে বিপক্ষকে ঘায়েল করাই লখনউয়ের সেরা কৌশল। চেন্নাইয়ে অপেক্ষাকৃত মন্থর পিচে হবে দুই দলের ম্য়াচ। টস জেতার পর ব্যাটিং করে নিতে চাইবে দুই দলই। বুধবারের ম্যাচে কোনও দ্বিতীয় সুযোগ পাওয়া যাবে না। পরাজয় মানে, ট্রফির দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়া। জিতলে ফাইনালে ওঠার দৌড়ে থাকা যাবে।

 

শেষ হাসি কাদের জন্য তোলা রয়েছে?


আরও পড়ুন: প্রচণ্ড গরম থেকে শরীরকে বাঁচাতে পাতে রাখুন এই খাবারগুলি