কলকাতা: যত দিন যাচ্ছে গরমের তীব্রতা ততই বাড়ছে। তাই  ডিহাইড্রেশনের শিকার হতে হচ্ছে মানুষকে। গরমে এমন খাবারই খাওয়া উচিত, যাতে পর্যাপ্ত জল আছে। কারণ, গরমে ঘামে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ জল বের হয়ে যায়। তা ছাড়া কিছু খাবার শরীরের গরম কমাতেও সাহায্য করে। তাই এই সময়ে পাতে কী কী খাবার রাখবেন তা নিয়ে বিশেষ ভাবে সচেতন থাকা উচিত।


এই গরমে তরমুজের কোনও বিকল্প হয় না। তাই এই সময় আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কয়েক টুকরা তরমুজ রাখতে পারেন। তরমুজের মধ্যে ৯০ শতাংশই জল থাকায় তা আপনার শরীরকে আরাম দেবে। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ সমৃদ্ধ এই ফলে আরও আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপেন, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।


গরমে একটা শসা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করতে পারে। শসায় প্রচুর পরিমাণ জল থাকার কারণে এটি গ্রীষ্মের জনপ্রিয় সবজি হিসেবে খাদ্যতালিকায় শুরুর দিকে থাকে। শসা ফসফরাস, জিংক, ক্যালসিয়াম ও অন্য বেশ কয়েকটি খনিজ পদার্থের ভালো উৎস। 


গরম থেকে বাঁচতে সরবতের বিকল্প নেই। তাই এইসময়ে বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দ মত সরবত।  গরমের দিনে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার অন্যতম উপায় হয় আম পানা। আর এটা শুধু শরীরকে ঠাণ্ডাই রাখে না হজম শক্তিও বাড়ায়।  


আমপানার পাশাপাশি,  শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল বাটার মিল্ক। এতে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা শুধু ত্বককেই ভাল রাখে তাই নয়, হজম শক্তিও উন্নত করে।


এছাড়াও বাজারে খুব কম দামেই পাওয়া যায় পুদিনা পাতা, যা শরীরকে ঠাণ্ডা ও সতেজ রাখার অন্যতম উপাদান। চাটনি, বাটার মিল্ক বা রায়তায় সঙ্গে অনায়াসেই এটি খাওয়া যায়।  


 গরমে অত্য়ন্ত উপকারী পানীয় হল ডাবের জল।  এই পানীয়তে দেহকোষে জলের অভাব তৈরি হয় না। আর শুধু শরীরকে ঠাণ্ডা রাখাই নয়, ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মতো জ্বরে ডাবের জল প্লেটলেট কাউন্ট বাড়িয়ে তোলে।  


আরও পড়ুন...


গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘামতে শুরু করি কেন, এর পেছনে বৈজ্ঞানিক কারণ কী ?


গরমের খাবার হিসেবে দইও ভালো খাবার। বিশেষ করে টকদই। দই দিয়ে তৈরি লস্য়িও খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া বাজারে নানা ধরনের দইয়ের পানীয় পাওয়া যায়, সেসবও গরমের খাবার হিসেবে খেতে পারেন। তিনবেলা নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি কিছুটা দকদই খেলেও ভালো ফল পাবেন। কারণ, দইয়ের ৮৫ শতাংশ জল আপনার শরীরকে গরমে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।