আমদাবাদ: এবারের আইপিএলের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাত টাইটান্স (Gujrat Titans) ও চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings)। আগামী রবিবার শেষ ম্যাচেও মুখোমুখি হবে এই দুই দল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে (Mumbai Indians) ৬২ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল হার্দিক পাণ্ড্যর দল। শুভমন গিলের শতরানের পর বল হাতে মোহিত শর্মার ৫ উইকেট শিকার। গোটা ম্যাচে সব বিভাগেই রোহিতদের টেক্কা দিল গুজরাত শিবির। আগামী রবিবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে খেতাব জয়ের লড়াইয়ে নামবে টাইটান্স ব্রিগেড।


২৩৪ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা। শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ব্য়াটিং করতে হত মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। বিশেষ করে রোহিত-ঈশান জুটিকেই এদিন সবচেয়ে বেশি সময় ক্রিজে দরকার ছিল। কিন্তু গুজরাতের ব্যাটিংয়ের সময় জর্ডনের কনুইয়ের আঘাতে এতটাই চোট পান বাঁহাতি মুম্বই ওপেনার, যে ব্যাট হাতে নামতেই পারলেন না তিনি। রোহিতের সঙ্গে ওপেনে নেমেছিলে নেহাল ওয়াধেরা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করতে পারলেন না তিনি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই শামির বলে ফিরে গেলেন আউট হয়ে মাত্র ৪ রান করে। রোহিত শর্মাও ৮ রান করে শামির দ্বিতীয় শিকার হন। মুম্বইয়ের জন্য যে কাজটা একপ্রকার অসম্ভব, তার আন্দাজ পাওয়া গিয়েছিল তখনই। তবুও সূর্যকুমার যাদব ক্রিজে ছিলেন বলে কিছুটা আশা ছিল। তিলক ভার্মা ও সূর্যকুমার যাদবের ব্য়াটিং কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছিল পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন দলটিকে। ১৪ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে রশিদ খানের বলে ফিরে যান তিলক। নিজের ইনিংসে পাঁচটি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। অন্যদিকে সূর্যকুমার যাদব ৩৮ বলে ৬১ রান করেন। তিনি ৭টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান। তবে জয় এনে দিতে পারেননি তাঁরা কেউই। লোয়ার অর্ডার আর কেউই রান পাননি। ১৮.২ ওভারে ১৭১ রানে অল আউট হয়ে যায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। 


এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এদিন আমদাবাদে বৃষ্টির জন্য আউটফিল্ড ভেজা থাকায় টস শুরু হতে কিছুক্ষণ দেরি হয়। নির্ধারিত সময় সন্ধে ৭টার পরিবর্তে ৭.৪৫-এ টস হয়। এরপর ৮টার সময় খেলা শুরু হয়েছিল। গুজরাতের জার্সিতে এবার আইপিএলে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন শুভমন গিল। এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত দুটো সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে ভাল শুরু করেও ফিরে যেতে হয়েছিল ৪২ রান করেই। অরেঞ্জ ক্যাপ জয়ের দৌড়ে শীর্ষে ওঠার থেকে মাত্র ৯ রান দূরে ছিলেন। এদিন আর মুম্বই বোলারদের কোনও সুযোগ দিলেন না। শুরু থেকেই চেনা মেজাজে ব্য়াটিং। ঋদ্ধিমান সাহা ১৮ রানে ফিরে যাওয়ার পর সাই সুদর্শনকে নিয়ে আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্য়াটিং শুরু করেন গিল। আগের ম্যাচে মুম্বইয়ের নায়ক আকাশ মাধওয়ালকে এদিন এক ওভারে তিনটি ছক্কা হাঁকান ডানহাতি এই ব্য়াটার। নিজের ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারি ও ১০টি ছক্কা হাঁকান গিল। যখন আউট হলেন তখন নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৬০ বলে ১২৯ রান। সাই সুদর্শন ৩১ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেললেন ৫টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে।