জয়পুর: মাথার ওপর ২১৪ রানের বিশাল বোঝা। ম্যাচ জিততে শেষ ২ ওভারে বাকি ৪১ রান। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অতি বড় ভক্তও ভাবতে পারেননি যে, ম্যাচের পরিণতি এরকম রুদ্ধশ্বাস হবে। রাজস্থান রয়্যালসের সমর্থকেরা ধরেই নিয়েছিলেন যে, ২ পয়েন্ট আসতে চলেছে তাঁদের ঝুলিতে (RR vs SRH)।


অন্যরকম কিছু ভেবেছিলেন গ্লেন ফিলিপস ও আব্দুল সামাদ। শেষ ২ ওভারে কার্যত অসাধ্য সাধন করলেন দুজনে। সেই সঙ্গে ফের একবার প্রমাণ করে দিলেন, ক্রিকেট মহান অনিশ্চয়তার খেলা। 


৭ বলে ২৫ রান করলেন ফিলিপস। ৭ বপলে ১৭ রান সামাদের। শেষ বলে সন্দীপ শর্মাকে ছক্কা মেরে হায়দরাবাদকে ম্যাচ জেতালেন। সেই সন্দীপ শর্মা, যিনি চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে একের পর এক নিখুঁত ইয়র্কারে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের হাত থেকে ২ পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। এবারের আইপিএলের একের পর এক ম্যাচ শেষ হচ্ছে নাটকীয়ভাবে। যশ দয়ালকে মারা রিঙ্কু সিংহের ৫ ছক্কা তো আইপিএলে অমরত্ব লাভ করে ফেলেছে। সেই তালিকায় ঢুকে পড়লেন সামাদও। রাজস্থান রয়্যালসের ২১৪/২ স্কোর ৬ উইকেট হারিয়ে তুলে নিল হায়দরাবাদ। সেই সঙ্গে ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ভেসে রইল প্লে অফের দৌড়েও।


ম্যাচের প্রথমার্ধটা ছিল রাজস্থান রয়্যালসের। ভুবনেশ্বর কুমারের বিষাক্ত ইনস্যুইঙ্গিং ইয়র্কার যখন তাঁর পায়ের পাতায় আছড়ে পড়ল, জয়পুরের সোয়াই মান সিংহ স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে উদ্বেগ। ৫৯ বলে ৯৫ রান করে তখন অপরাজিত জস বাটলার (Jos Buttler)। গোটা গ্যালারি প্রার্থনা করছে ছয় মেরে বাটলারের সেঞ্চুরি দেখার জন্য। আম্পায়ার আঙুল তুললেন না। যেন স্বস্তি দর্শকদের। তবে কয়েক মুহূর্তের জন্য। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করলেন ভুবি। ডিআরএসে এলবিডব্লিউ হলেন বাটলার। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৫ রান দূরে থামতে হল। হতাশা ছড়াল গ্যালারিতে।


সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে বড় রান তোলে রাজস্থান। ৩৮ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত রইলেন সঞ্জু স্যামসন। ২০ ওভারের শেষে রাজস্থান তোলে ২১৪/২। প্রথমার্ধের শো স্টপার ইংরেজ তারকা বাটলার। ৮৪ মিনিটের ইনিংসে মারলেন ১০টি চার ও ৪টি ছক্কা। স্ট্রাইক রেট ১৬১.০১। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কোনও বোলারকেই রেয়াত করেননি তিনি।


রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই অভিষেক শর্মা ও অনমোলপ্রীত সিংহ ঝড় তোলেন। ৩৪ বলে ৫৫ রান করেন অভিষেক। তিন নম্বরে নেমে ২৯ বলে ৪৭ রান করেন রাহুল ত্রিপাঠি। ১২ বলে ২৬ রান হেনরিক ক্লাসেনের। শেষ হাসি সামাদ ও ফিলিপসের সুবাদে।


হায়দরাবাদের কাছে এই ম্যাচ মরণ-বাঁচন। প্লে অফে যাওয়ার সামান্যতম আশা জিইয়ে রাখতে হলে বাকি ৫ ম্যাচের সবকটি জিততেই হতো সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে (RR vs SRH)। হায়দরাবাদ সেই লড়াইয়ে রইল।


আরও পড়ুন: IPL Exclusive: বদলে যাচ্ছে ইডেনের পিচ? কেকেআর-পাঞ্জাব ম্যাচে ঘূর্ণির পুর্বাভাস