আমদাবাদ: এবারের আইপিএলে (IPL) সবচেয়ে বড় চমক। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার (Impact Player)। যে নিয়মে বদলে যেতে পারে ম্যাচের ভাগ্য।


আর সেই নিয়মে প্রথম ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হয়ে আইপিএলে ইতিহাস গড়লেন তুষার দেশপাণ্ডে (Tushar Deshpande)। অম্বাতি রায়ডুর পরিবর্তে তাঁকে গুজরাতের ব্যাটিংয়ের সময় মাঠে নামায় চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings)। অম্বাতি আর ফিল্ডিং করতে নামেননি। যদিও মাঠের অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর হয়নি তুষারের। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নেমে ৩.২ ওভারে ৫১ রান খরচ করেন তুষার দেশপাণ্ডে। মাত্র ১ উইকেট পান তিনি।


গুজরাতও নতুন নিয়ম কাজে লাগায়। চোট পাওয়া কেন উইলিয়ামসনের পরিবর্তে সাই সুদর্শনকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামান হার্দিক পাণ্ড্যরা। ১৭ বলে ২২ রান করেন তিনি। শুভমন গিলের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে দলের জয়ের ভিত তৈরি করে দিয়েছিলেন।


মরসুম পাল্টালেও পাল্টাল না গুজরাত টাইটান্সের (GT vs CSK) বিরুদ্ধে চেন্নাই সুপার কিংসের ভাগ্য। আইপিএলে টানা তিন ম্যাচে সিএসকে-কে হারাল গুজরাত। যারা গতবারই আইপিএলে অভিষেক ঘটিয়েছে। গতবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল গুজরাত। দুবারের সাক্ষাতে দুবারই হারিয়েছিল সিএসকে-কে। এবারও সেই ছবি অপরিবর্তিত। চেন্নাইয়ের ১৭৮ রান তাড়া করতে নেমে ৪ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে গেল গুজরাত। সেই সঙ্গে চারবারের চ্যাম্পিয়নদের হারানোর হ্যাটট্রিকও সেরে ফেললেন হার্দিক পাণ্ড্যরা।


 






টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হার্দিক। প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাই তুলেছিল ১৭৮/৭। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্তভাবে করেছিলেন শুভমন গিল ও ঋদ্ধিমান সাহা। মাত্র ৩.৫ ওভারে ৩৭ রান তুলে ফেলে গুজরাত। ১৬ বলে ২৫ রান করে ফেরেন ঋদ্ধিমান। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে কেন উইলিয়ামসনের পরিবর্তে নামেন সাই সুদর্শন। ১৭ বলে ২২ রান করেন তিনি। তবে শুভমন ছিলেন অনবদ্য ছন্দে। ৩৬ বলে ৬৩ রান করেন ভারতীয় তারকা। ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। 


শেষের দিকে বিজয় শঙ্কর ২১ বলে ২৭ রান করেন। রশিদ খান ৩ বলে ১০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ১৪ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন রাহুল তেওয়াতিয়া। সিএসকে বোলারদের মধ্যে একমাত্র রাজবর্ধন হাঙ্গরগেকর নজর কাড়েন। ৩৬ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি।