কলকাতা: ঘরের মাঠে আরসিবির বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল কেকেআর। দ্বিতীয় ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে খাতায় কলমে এগিয়ে থেকেই মাঠে নেমেছে কেকেআর। তবে হায়দরাবাদের ব্যাটিংয়ের পর কিছুটা চিন্তা কেকেআর শিবিরে থাকবেই। হ্যারি ব্রুক ও এইডেন মারক্রামের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে বোর্ডে পাহাড়প্রমাণ ২২৮ রান তুলে নেয় কমলা বাহিনী। ৪ উইকেট মাত্র খুঁইয়েছে তারা। এবারের আইপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি এল ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুকের ব্যাট থেকে।  


এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেকেআর অধিনায়ক নীতিশ রানা। যদিও বল হাতে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করছিলেন হায়দরাবাদের ইংলিশ ব্য়াটার হ্যারি ব্রুক। আন্দ্রে রাসেলের বলে ময়ঙ্ক আগরওয়াল ও রাহুল ত্রিপাঠী পরপর প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেও হ্যারি ব্রুক এদিন শতরান হাঁকালেন। সঙ্গে ছিলেন অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম। ২৬ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন মারক্রাম। অন্য়দিকে ১৭ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন অভিষেক শর্মা। যদিও হ্যারি ব্রুক নিজের প্রথম শতরান পূরণ করলেন আইপিএলে। ৫৫ বলে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। 


কলকাতার বোলাররা কেউই এদিন ছাপ ফেলতে পারেননি। ৩ ওভারে ৪২ রান খরচ করলেও কোনও উইকেট পাননি উমেশ যাদব। লকি ফার্গুসন ২ ওভারে ৩৭ রান খরচ করেও কোনও উইকেট পাননি। ২২ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন রাসেল। তিনিই একমাত্র কিছুটা বেগ দিয়েছিলেন। 


 'ম্যান উইথ দা গোল্ডেন আর্ম' হয়ে হাজির হলেন আন্দ্রে রাসেল (Andre Russell)। প্রথম বলেই তুলে নিলেন উইকেট। পরে আরও দুটি উইকেট তুলে নিলেন দ্রে রাস।


তবু শুক্রবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচের মাঝপথেই প্রবল উদ্বেগে কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবির। কারণ, চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন রাসেল। তাঁর পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গিন হয়ে পড়ল যে, নিজে হেঁটে বেরতে পারলেন না। রীতিমতো দুজন সাপোর্ট স্টাফের কাঁধে ভর করে মাঠ ছাড়লেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। দেখা গেল, ডান পা ঠিকমতো মাটিতে ফেলতেই পারছেন না রাসেল।


নিজের তৃতীয় ওভারের প্রথম বল করেই মাঠ ছাড়তে হল রাসেলকে। ওভারের বাকি ৫ বল করলেন শার্দুল ঠাকুর। কেকেআর শিবির থেকে এখনও রাসেলের চোটের কী অবস্থা, বলা হয়নি। তবে যেভাবে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা গেল, তাতে অনেকে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন এই ভেবে যে, গোটা আইপিএল থেকেই না ছিটকে যেতে হয় রাসেলকে।