মুম্বই: পরতে পরতে ছিল নাটক। অনেকদিন আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল যে, আইপিএলে আর গুজরাত টাইটান্সের (Gujarat Titans) জার্সিতে দেখা যাবে না হার্দিক পাণ্ড্যকে (Hardik Pandya)। তিনি নাকি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) সঙ্গে কথাবার্তা সেরে রেখেছেন। যদিও গুজরাত টাইটান্স যে রিটেন করা ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ করেন, সেখানে দেখা যায় জ্বলজ্বল করছে হার্দিক পাণ্ড্যর নাম।


তবে নাটকের তখনও বাকি ছিল। সেদিন সন্ধ্যার দিকেই গুজরাত ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, হার্দিককে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ট্রেডিং করা হচ্ছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও জানিয়ে দেয় যে, যে দলে খেলে হার্দিকের উত্থান, সেখানেই ফিরেছেন বঢোদরার অলরাউন্ডার।


তবে এ জন্য কি হার্দিকের কোনও শাস্তি প্রাপ্য? কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন টিম ডিরেক্টর অন্তত সেরকমই মনে করেন। জয় ভট্টাচার্য সাফ জানাচ্ছেন, রবীন্দ্র জাডেজা একই কাজ করে এক বছরের জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন। এক বছর আইপিএলে খেলা হয়নি সৌরাষ্ট্রের অলরাউন্ডারের। তাহলে হার্দিককে ছাড় কেন? কেন শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত তৈরি করছে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড?


ঘটনাটি ২০১০ সালের। জাডেজা তখন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আইপিএল খেলতেন। রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গে চুক্তি টেনে নিয়ে যেতে চাননি জাডেজা। চেয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলতে। মুম্বই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে ভেতর ভেতর কথাও বলে রেখেছিলেন তিনি। যা নিয়মবিরুদ্ধ। সেই অপরাধে তাঁকে এক বছর আইপিএল থেকে নির্বাসিত করা হয়েছিল।


কেকেআরের প্রাক্তন টিম ডিরেক্টর জয় ভট্টাচার্য বলেছেন, 'একই ঘটনা ঘটেছিল ২০১০ সালে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে খেলতে চেয়ে ও চুক্তিতে সই করে এক বছরের জন্য নির্বাসিত হয়েছিল জাডেজা। ও বলেছিল আর রাজস্থান রয়্যালসে খেলতে চায় না। বোর্ডের তরফে বলা হয়েছিল, এটা রীতিবিরোধী। ২০১০ সালে সেটা আটকানো হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে সেটা করতে দেওয়া হল। এবার থেকে ক্রিকেটারেরা তো মনে করবে যে চাইলে অন্য দলের সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে আর তাতে বোর্ডও কোনও আপত্তি করবে না। পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজিও তাদের ছেড়ে দেবে। আইপিএলের জন্য এটা ভাল উদাহরণ হয়ে রইল না।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: বারুদের বিষগন্ধেও বিশ্বজয়ের বীজ! আফগানিস্তানের স্বপ্ন দেখা শুরু হয় এক ভারতীয়র হাত ধরেই