বেঙ্গালুরু: আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। এরপরই ৫৯০ ক্রিকেটারের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। এর মধ্যে ২২৮ জন ক্যাপড প্লেয়ারস, ৩৫৫ জন আনক্যাপড প্লেয়ারস এবং অন্য দেশের সাত খেলোয়াড় রয়েছেন। এবারের নিলামে ৮ জন ভারতীয় ক্রিকেটার রয়েছেন, যাঁদেরকে ফ্র্যাঞ্চাইজি রিটেন করেনি। এক নজরে তাঁরা কারা, দেখে নেওয়া যাক --
হার্দিক পাণ্ড্য: মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে কেরিয়ারের শুরু থেকেই খেলেছেন তিনি। আইপিএলের দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন হার্দিক। ২০১৪ সালে প্রথমবার নিজের নিলামে অবিক্রিত ছিলেন বঢোদরার অলরাউন্ডার। কিন্তু এরপর ২০১৫ সালে মুম্বই তাঁকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনে নেয়। এরপর থেকে টানা সেই দলের হয়েই খেলে গিয়েছেন তিনি। হার্দিক ৯২ ম্যাচে ১৪৭৬ রান ও ৪২ উইকেট ঝুলিতে রয়েছে। এবছর আর হার্দিককে রিটেন করেনি মুম্বই। তবে তার বদলে গুজরাত টাইটান্স এই তরুণ তারকাকে এবার ক্যাপ্টেন করে দলে নিয়েছে।
শ্রেয়স আইয়ার: ৮৭ ম্যাচে আইপিএলে ঝুলিতে ২,৩৭৫ রান করেছেন। ২০১৮ সালে আইপিএলে দিল্লির অধিনায়ক হিসেবে খেলেছিলেন শ্রেয়স। ২০১৯ সালে প্রথমবার প্লে অফে উঠেছিল দিল্লি। এবারের নিলামে বেস প্রাইস ২ কোটি টাকা রেখেছেন শ্রেয়স। ২০২১ সালে কাঁধে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন। এরপর পন্থ অধিনায়ক হন দলের। এবার রিটেন করেনি দিল্লি শ্রেয়সকে।
শিখর ধবন: বিরাট কোহলির পর আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বাধিক রানের মালিক শিখর ধবন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৫৭৮৪ রান। সর্বােচ্চ অপরাজিত ১০৬। নিজের বেস প্রাইস এবার রেখেছেন ধবন ২ কোটি টাকা। এবার দিল্লিও ধরে রাখেনি তারকা বাঁহাতি ওপেনারকে। শিখরের বেস প্রাইস ২ কোটি টাকা।
ঈশান কিষাণ: ২৩ বছরের তরুণ উইকেট কিপার ব্য়াটার। এখনও পর্যন্ত ১৪৫২ রান করেছেন টুর্নামেন্টে। রাঁচির এই তরুণের বেস প্রাইসও ২ কোটি টাকা। বাঁহাতি ব্য়াটার। ওপেনিংয়ে বিধ্বংসী ফর্মে দেখা যেতে পারে ঈশানকে। ৫৭.৩৩ গড়ে ২০২০ মরসুমে ৫১৬ রান করেছিলেন এই ব্যাটার। তিনিই ছিলেন দলের সেই বছরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
যুজবেন্দ্র চাহাল: ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত আরসিবিতে খেলেছেন তিনি। ৮ বছর পর এই প্রথমবার নিলামে উঠেছেন এই লেগস্পিনার। এবার নিলামে উঠেছেন তিনি। বেস প্রাইস ২ কোটি টাকা রেখেছেন তারকা স্পিনার। ১১৯ ম্যাচে এখনও পর্যন্ত ১৩৯ উইকেট তুলে নিয়েছেন চাহাল।
শুভমন গিল: কলকাতা নাইট রাইডার্সের তরুণ ওপেনার। এবার নিলামের আগেই আমদাবাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাত টাইটান্স ৮ কোটি টাকা দিয়ে নিয়েছে এই ২২ বছরের তরুণ ওপেনারকে।
সুরেশ রায়না: আইপিএলের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ৩৫ বছরের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ২০০৮-২০১৫ পর্যন্ত খেলেছেন। এরপর মাঝে ২ বছর গুজরাত লায়ন্স দলে ছিলেন। ফের চেন্নাই শিবিরে ফিরে এসেছেন। ১৭৬ ম্যাচে ৪,৬৮৭ রান করেছেন। এবার বেস প্রাইস রেখেছেন রায়না তাঁর ২ কোটি টাকা।
ক্রুণাল পাণ্ড্য: মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে খেলেছেন কেরিয়ারের প্রথম থেকেই হার্দিকের সঙ্গে জুটি বেঁধে মাঠে দেখা গিয়েছে এতদিন আইপিএলে তাঁর বড় ভাইকেও। ২ কোটি টাকা বেস প্রাইস রেখেছেন তিনি এবার।