নয়াদিল্লি: বিশ্বের এমন কোনও বোলার নেই, যাঁকে আন্দ্রে রাসেলের সামনে সমস্যায় পড়তে হয়নি। ক্যারিবিয়ান পাওয়ারের সামনে লাইন লেংথ বিগড়ে গিয়েছে তাবড় তাবড় বোলারদের। দিল্লি ক্যাপটালসের বিরুদ্ধে ম্য়াচেও ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন আন্দ্রে রাসেল। কেকেআরের বোর্ডে ২৭২ ওঠার পেছনে নারাইনের ৮৫ রানের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল রাসেলের ১৯ বলে ৪১ রানের ঝোড়ো ইনিংস। কিন্তু সেই ইনিংসকেই শেষ পর্যন্ত থামিয়ে দিয়েছিলেন ইশান্ত শর্মা। তাও আবার দুরন্ত ইয়র্কারে। রাসেল রীতিমত ভূপতিত হয়ে গিয়েছিলেন সেই বলে বোল্ড হওয়ার পথে।
কিন্তু কী পরিকল্পনা ছিল সেই বলের আগে ইশান্তের? দীর্ঘকায় ভারতীয় পেসার বলছেন, ''আমি জানতাম যে পাঁচজন ফিল্ডার সার্কেলের ভেতরে ছিলেন। এছাড়া এটাও জানতাম যে যদি আমি মিস করতাম তবে বল কোথায় গিয়ে পড়ত। কিন্তু ওই সময় শুধু নিখুঁত ইয়র্কার দেওয়ার কথাই ভেবেছিলাম আমি। কোনওভাবেই সেটা মিস করলে হত না।'' জাতীয় দলের জার্সিতে দীর্ঘদিন খেলা ৩৫ বছরের এই অভিজ্ঞ পেসার আরও বলেন, "এটা এমন একটা ফর্ম্যাট যেখানে খারাপ বল, ভাল বল বলে কিছু হয় না। খারাপ বলে উইকেট আসতে পারে, আবার ভাল বলও বাউন্ডারি ও ছক্কা হজম করতে হতে পারে বোলারকে। আমি শুধু চাইছিলাম যে নিজের পরিকল্পনা মত শুধু বল গুলো করে যেতে পারি যাতে। আমি খুব বেশি ফিল্ড সেটিং, মাঠের গঠন ও কে আমার সামনে তা নিয়ে ভাবিনা।'' কিন্তু এত নিখুঁত ইয়র্কারের রহস্য কী? ইশান্ত বলছেন, ''এর জন্য প্রচুর অনুশীলন ও পরিশ্রম প্রয়োজন হয়। আমি দিনের পর দিন অনুশীলন করে গিয়েছিলাম এই ধরণের ইয়র্কার করার জন্য। চাপের মুখে যাতে নিখুঁত ইয়র্কার করতে পারি, তার চেষ্টা করে গিয়েছি প্রতিনিয়ত।''
সেদিনের ম্য়াচে ২৭২ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল। এই টুর্নামেন্টে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমে ২৭৭ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল সানরাইজার্স। সেটিই এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক ইনিংসে কোনও দলের সর্বাধিক রান। ২০১৩ সালে আরসিবির করা রেকর্ড ভেঙে দিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছিল সানরাইজার্স। দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচে নারাইন যখন ব্যাট করছিলেন বা রাসেল যখন ব্যাট করছিলেন তখনও মনে হচ্ছিল যে কেকেআর সেই রেকর্ডও ভেঙে দেবে, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি শেষ পর্যন্ত।