মুল্লাপুর: মঙ্গলবার আইপিএলের (IPL 2024) মঞ্চ ফের একবার এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সাক্ষী হয়ে থাকল। পাঞ্জাব কিংসকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে দুই রানে হারাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (PBKS vs SRH)। শশাঙ্ক সিংহ (Shashank Singh) এবং আশুতোষ শর্মার (Ashutosh Sharma) দুরন্ত লড়াইও কাজে দিল না। শেষ ওভারে ২৬ রান উঠলেও হারতেই হল পাঞ্জাব। ১৮৩ রান তাড়া করতে নেমে ১৮০/৬ থামল পাঞ্জাবের লড়াই। শশাঙ্ক ৪৬ ও আশুতোষ ৩৩ রানে অপরাজিত থাকলেন।
পাঞ্জাবের ইনিংসের শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি। জনি বেয়ারস্টোকে নিজের প্রথম ওভারেই ফেরান প্যাট কামিন্স। শিখর ধবন এবং প্রভসিমরণ সিংহ যথাক্রমে ১৪ ও চার রানে সাজঘরে ফেরেন। ২০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে পাঞ্জাব। স্যাম কারান ও সিকান্দার রাজা দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন। কারান বেশ ভালই খেলছিলেন। কিন্তু মিড অফে নটরাজনের বলে ঝাঁপিয়ে এক অসাধারণ ক্যাচ ধরে ২৯ রানে তাঁকে ফেরান কামিন্স। রাজাও সেট হয়ে বড় রান করতে পারেননি। তাঁর সংগ্রহ ২৮ রান। জীতেশ করেন ১৯।
১১৪ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে এক সময়ে কার্যত ধুঁকছিল পাঞ্জাব। কিন্তু তাঁদের হয়ে ফের একবার অসম্ভবকে সম্ভব করার দায়ভার নেন শশাঙ্ক। দুরন্তভাবে আশুতোষ শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে চলান লড়াই। এক সময় মনে হচ্ছিল কার্যত সানরাইজার্স হেসেখেলে জয় পাবে। শেষ ওভারে পাঞ্জাবের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। তাতেও হতাশ না হয়ে লড়াই চালান শশাঙ্ক ও আশুতোষ। কিন্তু শেষমেশ জয় অধরাই রয়ে গেল।
প্রথম ইনিংস
ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাঞ্জাব অধিনায়ক শিখর ধবন। কাগিসো রাবাডার প্রথম ওভারেই ট্র্যাভিস হেডের ব্যাটের কাণায় বল লাগে। তবে আম্পায়ারও তাঁকে আউট দেননি, রিভিউ নেয়নি পাঞ্জাব। তিনি আগ্রাসী মেজাজেই ব্যাট করতে থাকেন। রাবাডার ওভারে ১৬ রান তোলেন তিনি। তবে হেডকে ২১ রানে ফেরান অর্শদীপ সিংহ। পিছনে অনেকটা ছুটে দারুণ ক্যাচ ধরেন ধবন। ওই একই ওভারে মারক্রামকে খাতা খোলার আগেই ফেরান অর্শদীপ।
অভিষেক শর্মা ও রাহুল ত্রিপাঠীও বড় রান করতে পারেননি। দুইজনে যথাক্রমে ১৬ ও ১১ রানে সাজঘরে ফেরেন। ৬৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে বিরাট চাপে পড়ে যায় সানরাইজার্স। বিধ্বংসী হেনরিখ ক্লাসেনকে নয় রানে ফেরান হর্ষল পটেল। ১০০ রানে আধা সানরাইজার্স দল সাজঘরে ফিরে যায়। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে হাল না ছেড়ে পাল্টা লড়াই শুরু করেন আব্দুল ও নীতীশ। বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাটিং করেন দুইজনেই। ৩২ বলে নিজের প্রথম আইপিএল অর্ধশতরান পূরণ করেন নীতীশ।
ষষ্ঠ উইকেটে সামাদের সঙ্গে ৫০ রানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন। তবে এরপরেই জোড়া ধাক্কা। ফের একবারে জোড়া সাফল্য পান অর্শদীপ। সামাদকে ২৫ ও নীতীশকে ৬৪ রানে ফেরান তিনি। প্যাট কামিন্স একদা আইপিএলের দ্রুততম অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু এই ম্যাচে তাঁর ব্যাট চলেনি। তাঁর সংগ্রহ তিন। ভুবনেশ্বরের সংগ্রহ ছয়। শেষমেশ শাহবাজ আমেদ সাত বলে অপরাজিত ১৪ রানের একটি ছোট্ট ইনিংস খেলেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: চার বছর পর ফিরলেন মহম্মদ আমির, পাকিস্তান দলে প্রত্যাবর্তন ঘটালেন ইমাদ ওয়াসিমও