পুণে: মহেন্দ্র সিংহ ধোনি অধিনায়ক হিসেবে ফিরতেই ফের ছন্দে চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings)। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (Sunrisers Hayderabad) বিরুদ্ধে ১৩ রানে জয় ছিনিয়ে নিল হলুদ জার্সিধারীরা। ব্যাট হাতে রুতুরাজ, কনওয়ের দুর্দান্ত ইনিংসের পর বল হাতে অনবদ্য স্পেল মুকেশ চৌধুরীর। ৪ উইকেট তুলে নিলেন একাই। কেন উইলিয়ামসন, নিকোলাস পুরান ও অভিষেক শর্মার মরিয়া লড়াইও সানরাইজার্সকে জয় এনে দিতে পারল না। এই ম্যাচ জয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্লে অফের দৌড়েও টিকে থাকল চেন্নাই সুপার কিংস।


১৮৯-তে আটকে গেল সানরাইজার্স


দুশোর ওপর রানের লক্ষ্যমাত্রা। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ২ ওপেনার অভিষেক শর্মা ও কেন উইলিয়ামসন শুরু থেকেই চালিয়ে খেলছিলেন। বিশেষ করে অভিষেক ছিলেন মারমুখি মেজাজে। অভিষেক শর্মা ২৪ বলে ৩৯ রান করে আউট হন। পরের বলেই রাহুল ত্রিপাঠীর খাতা খোলার আগেই ফিরে যান। পরপর ২ বলে ২ উইকেট তুলে নেন মুকেশ চৌধুরী। এরপর মার্করমকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান কেন উইলিয়াসন। চেষ্টা করেছিলেন বৈতরণী পার করার। কিন্তু পারলেন না। ৪৭ রান করে ফিরতে হয় তাঁকেও। নিকোলাস পুরান চালিয়ে খেলছিলেন লোয়ার অর্ডারে নেমে। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৩৮ রান। কিন্তু পুরান ২৪ রানই তুলতে পারেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানই বোর্ডে তুলতে পারে হায়দরাবাদ। 


৯৯ রানে ফিরলেন রুতুরাজ


টস জিতে এদিন বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। চেন্নাইয়ের হয়ে ওপেনে নেমেছিলেন ডেভন কনওয়ে ও রুতুরাজ গায়কোয়াড। চলতি টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত সিএসকের ওপেনিং জুটি সেভাবে বড় রান পায়নি। প্লে অফের দৌড়ে ন্যূনতম টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হত। আর তার জন্য দরকার ছিল বোর্ডে বড় রান তুলে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা। ঠিক সেই কাজটাই করলেন রুতুরাজ ও কনওয়ে। শুরুতে একটু ধীর গতিতে কনওয়ে শুরু করলেও মারমুখি মেজাজে ছিলেন রুতুরাজ। কেরিয়ারের দ্বিতীয় আইপিএল শতরান আসছে, তা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত ৯৯ রানের মাথায় পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দিলেন। ৬টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কা হাঁকান নিজের ইনিংসে রুতুরাজ। কনওয়ে যদিও ৫৫ বলে ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৮টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকান। ধোনি ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।