মুম্বই: ব্য়াট হাতে কাজটা করেছিলেন অধিনায়ক কে এল রাহুল। আর বল হাতে অধিনায়কের আস্থার পূর্ণ মর্যাদা রাখলেন মহসিন খান। দুরন্ত পেস বোলিংয়ে নজর কাড়লেন। তুলে নিলেন চার চারটে উইকেট। যার সুবাদে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিল লখনউ সুপারজায়ান্টস। ৬ রানে পন্থের দলকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল লখনউ সুপারজায়ান্টস। দুরন্ত বোলিংয়ের সুবাদে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হলেন মহসিন খান।


মহসিনের চার উইকেট, লখনউয়ের জয়


১৯৬ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা যে কোনও দলের কাছেই চাপের। আর সেই চাপ নিতেই শুরুতেই ব্যর্থ দিল্লির ২ ওপেনার পৃথ্বী শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই চামিরার বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন পৃথ্বী। তিনি ৫ রান করেন। ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটও চলেনি এদিন। মহসিন খান তাঁকে ফিরিয়ে দেন। এরপর ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে দিল্লি। মাঝে মিচেল মার্শ, অধিনায়ক ঋষভ পন্থ ও অক্ষর পটেল মিলে দলের স্কোর এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাঁরা কেউই দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। মার্শ ৩৭ রান করে ফেরেন। পন্থের ঝুলিতে ৪৪ রান। অক্ষর অপরাজিত থাকেন ৪২ রানে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানেই আটকে যায় দিল্লির ইনিংস। মহসিন খান ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৪টে উইকেট তুলে নেন। 


রাহুলের দুরন্ত ৭৭


প্রতি ম্য়াচে নেমে রান করাটা যেন এবারের আইপিএলে অভ্যেসে পরিণত করে ফেলেছেন কে এল রাহুল। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কে এল রাহুল। ওপেনিংয়ে কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন রাহুল। মাত্র ৪ ওভারেই ২ জনে মিলে বোর্ডে চল্লিশের ওপরে রান তুলে দিয়েছিলেন। লখনউ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন শার্দুল ঠাকুর। তিনি ফিরিয়ে দেন ডি কককে। ১৩ বলে ২৩ রান করে ফিরে যান তিনি। এরপরই দীপক হুডাকে সঙ্গে নিয়ে আবার ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন লখনউ সুপারজায়ান্টস দলের অধিনায়ক কে এল রাহুল। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে শুরুটা একটু স্লথ হলেও ধীরে ধীরে নিজের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন রাহুল। শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে ৭৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন এই কর্ণাটকী। নিজের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কা হাঁকান রাহুল।


দীপক হুডাও এদিন অর্ধশতরান হাঁকালেন। ৩৪ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন এই ডানহাতি স্টাইলিস্ট ব্যাটার। তিনি নিজের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান। লোয়ার অর্ডারে ক্রুণাল পাণ্ড্য ও মার্কাস স্টোইনিস মিলে দলের স্কোর দুশোর কাছাকাছি পৌঁছে দেন।