নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল ভারত। অক্সিজেনের জন্য চারিদিকে হাহাকার। দিল্লিনিবাসী আনোয়ার তাই ঠিক করেছিলেন, অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য দৌড়াদৌড়ি না করে করোনা আক্রান্ত বাবার জন্য আস্ত একটা কনসেনট্রেটর কিনে ফেলবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। বেঙ্গালুরু থেকে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর কিনে দিল্লি পৌঁছন আনোয়ার। কিন্তু দিল্লিতে এসে বিমানবন্দরে আর সেই কনসেনট্রেটর সমেত বাক্সটি খুঁজে পাননি। বিমানকর্মীরাও সদুত্তর দিতে পারেননি। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে আনোয়ার বাড়ি চলে যান।
এদিকে চেন্নাই সুপার কিংসের ক্রিকেটারেরাও সেই সময় দিল্লি বিমানবন্দরে নেমেছিলেন। ক্রিকেটারেরা আলাদা বিমানে এলেও আনোয়ারের বিমানে ছিলেন সিএসকে-র টিম মেম্বারদের কয়েকজন। তাঁরাই ভুল করে অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের বাক্সটি নিয়ে হোটেলে চলে গিয়েছিলেন। পরে বিষয়টা বোঝার পর সিএসকে-র তরফে ওই বাক্স বিমান কর্তৃপক্ষকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে তা ফেরত পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন আনোয়ার।
করোনা আবহে অনেক প্রশ্ন উঠলেও রমরমিয়ে চলছে আইপিএল। যদিও দর্শকশূন্য মাঠে হচ্ছে খেলা। এবং ক্রিকেটার, আম্পায়ার-সহ ম্যাচের সঙ্গে সরাসরি জড়িত সকলকে থাকতে হচ্ছে জৈব সুরক্ষা বলয়ের কড়া বিধিনিষেধের মধ্যে। এবার করোনা পরিস্থিতিতে আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ালেন দুই আম্পায়ার - নীতিন মেনন ও পল রিফেল। এদের মধ্যে নীতিন ভারতীয়। আইসিসি-র এলিট প্যানেলে থাকা একমাত্র আম্পায়ার তিনি। সদ্যসমাপ্ত ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজে তাঁর আম্পায়ারিং সর্বস্তরে প্রশংসিত হয়েছিল। জানা গিয়েছে, তাঁর পরিবারের সদস্যরা করোনা আক্রান্ত। সেই কারণে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত তাঁর। অন্যজন পল রিফেল অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন জোরে বোলার। ভারতে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় এখানকার সমস্ত উড়ান বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়া। তাই দোহা হয়ে তিনি দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন বলে জানা গিয়েছে।
বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, 'হ্যাঁ, নীতিন আইপিএল ছেড়ে গিয়েছে। ওর পরিবারের কয়েকজন করোনা আক্রান্ত আর মানসিকভাবে ও খেলা পরিচালনা করার মতো অবস্থায় নেই বলে জানিয়েছে।' জানা গিয়েছে, ইনদওরের বাসিন্দা নীতিন আইপিএলের জৈব সুরক্ষা বলয় ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। তবে বোর্ড সূত্রে খবর, স্থানীয় কয়েকজন আম্পায়ারকে বিকল্প হিসাবে তৈরিই রাখা হয়েছিল। তাই ম্যাচ পরিচালনা করতে সমস্যা হবে না।