CSK vs KKR IPL 2024 Score Live: রুতুরাজের হাফসেঞ্চুরি, ধোনির পাড়ায় চলতি আইপিএলে প্রথম হারের স্বাদ পেল কেকেআর
CSK vs KKR: চিপকে ১৪ বারের মুখোমুখি সাক্ষাৎকারে দশবারই জিতল সিএসকে। মাত্র চার বার জয় পেয়েছে কেকেআর।
অধিনায়কোচিত ইনিংস খেললেন রুতুরাজ। ৫৮ বলে ৬৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি পাঁচ নম্বরে নেমে ৩ বলে ১ করে অপরাজিত রইলেন। ১৪ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নিল সিএসকে।
চেন্নাই মানেই শাহরুখ খান-জুহি চাওলার দলের জন্য পয়মন্ত শহর। চিপক স্টেডিয়াম মানেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে স্মৃতির মাঠ। হবে নাই বা কেন? এই মাঠেই যে ২০১২ সালে প্রথম আইপিএল জয়ের স্বাদ পেয়েছিল কেকেআর। ১২ বছর পর অবশ্য সেই মাঠে হতাশা সঙ্গী হল কেকেআরের। টানা তিন ম্যাচ জিতে চেন্নাইয়ে গিয়েছিল কেকেআর। এই প্রথম আইপিএলে প্রথম তিন ম্যাচে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছে কেকেআর। কিন্তু তাদের জয়রথের চাকা বসে গেল চিপকেই। ৭ উইকেটে নাইটদের হেলায় হারিয়ে আইপিএলে হারের হ্যাটট্রিক রুখল চেন্নাই সুপার কিংস।
ডারিল মিচেলকে (১৯ বলে ২৫ রান) ফেরালেন নারাইন। ১৪ ওভারের শেষে চেন্নাইয়ের স্কোর ১০৯/২। ম্যাচ জিততে আর ৩৬ বলে ২৯ রান চাই।
৪৫ বলে হাফসেঞ্চুরি রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের। ১২ ওভারের শেষে চেন্নাই সুপার কিংসের স্কোর ৯৬/১।
৮ ওভারের শেষে চেন্নাইয়ের স্কোর ৬৭/১। ক্রিজে রুতুরাজ ও ডারিল মিচেল।
বৈভব অরোরার বলে মাত্র ২ রানে থাকা ডারিল মিচেলের ক্যাচ ফেলে দিলেন রামনদীপ। ৬ ওভারের শেষে সিএসকে ৫২/১।
৮ বলে ১৫ রান করে বৈভব অরোরার বলে ফিরলেন রাচিন রবীন্দ্র। ৪ ওভারের শেষে সিএসকে-র স্কোর ২৯/১।
মিচেল স্টার্ক ও বৈভব অরোরার বল হাতে ভাল শুরু। ২ ওভারের শেষে চেন্নাইয়ের স্কোর ১১/০।
২০ ওভার শেষে কেকেআর নয় উইকেটের বিনিময়ে ১৩৭ রানে ইনিংস শেষ করল। সিএসকের হয়ে তুষার দেশপাণ্ডে সর্বাধিক তিন উইকেট নিলেন।
শ্রেয়স আইয়ারের ৩৪ রানের ইনিংস সমাপ্ত হল। গোটা ইনিংস জুড়েই ব্যাটে বলে সঠিক সংযোগ হয়নি তাঁর। বড় শট মারতে গিয়ে শেষ ওভারেও একই ছবি দেখা গেল। ৩২ বলে ৩৪ রান করেন তিনি। ১৩৫ রানে আট উইকেট হারিয়ে ফেলল কেকেআর।
বড় শট হাঁকাতে গিয়ে ব্যাটে বলে সঠিক সংযোগ ঘটাতে পারেননি রাসেলও। ১০ রানই লং অনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি।
রাসেলও এই পিচে ঠিকভাবে ব্যাটে বলে সংযোগ ঘটাতে পারছেন না। ১৮ ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর ১২২/৬। ১৫০ রানের গণ্ডি পার করতে পারবে কেকেআর?
১৬তম ওভারে শতরানের গণ্ডি পার করল কেকেআর। তবে রিঙ্কু, শ্রেয়স কাউকেই ছন্দে দেখাচ্ছে না এখনও। ১৬ ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর ১০৯/৫। শ্রেয়স ২৬ ও রিঙ্কু সাত রানে ব্যাট করছেন।
আধা কেকেআর দল সাজঘরে ফিরে গেল। মাহিশ থিকশানা বিরুদ্ধে ছক্কা মারার পরের বলেই ১৫ রানে বোল্ড হলেন রমনদীপ সিংহ। ১২ ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর ৮৫/৫।
শ্রেয়স আইয়ারের ব্যাটে চাপমুক্তি। ৩৪ বল পর চার মারল কেকেআর। ১১ ওভার শেষে স্কোর ৭৭/৪।
দুরন্ত গতিতে এগোচ্ছিল কেকেআরের ইনিংস। কিন্তু বল হাতে নিয়েই সিএসকেকে ম্যাচে ফেরালেন জাডেজা। নিজের প্রথম ওভারে ২৪ রানে অঙ্গকৃষ, ২৭ রানে নারাইনকে ফেরানোর পর তিন রানে বেঙ্কটেশ আইয়ারকে ফেরালেন তিনি। ৬৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলল কেকেআর।
প্রথম বলেই উইকেট হারালেও কেকেআরের রানের গতি কমছে না। পাঁচ ওভারেই ৫০ পার করে ফেলল নাইটরা। নারাইন ২৬ ও অঙ্গকৃষ ১৯ রানে ব্যাট করছেন। পাঁচ ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর ৫০/১।
প্রথম দুই ওভারে তেমন রান না উঠলেও, তৃতীয় ওভারে ১৯ রান উঠল। চার, ছয় মারলেন নারাইন। তিন ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর ২৬/১। নারাইন ১৫ ও অঙ্গকৃষ রঘুবংশী ছয় রানে ব্যাট করছেন।
প্রথম বলেই ফিল সল্টকে ফেরালেন তুষার দেশপাণ্ডে। সল্ট অফস্টাম্পের বাইরের বলকে সজোরে কাট মারলেও তা সোজা রবীন্দ্র জাডেজার হাতে জমা পড়ে।
সিএসকের দলে তিন বদল ঘটানো হল। দেশে ভিসা সমস্যা মিটিয়ে এই ম্যাচে ফিরলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তবে মাথিশা পাথিরানা এখনও ফিট নন বলেই জানান রুতুরাজ। কেকেআর একাদশ অপরিবর্তিত।
কেকেআরের বিরুদ্ধে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন সিএসকে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়।
কেকেআরের বিরুদ্ধে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে সিএসকে। ১৯টি ম্যাচ জিতেছে হলুদ ব্রিগেড ও ১১টি ম্যাচে জয় পেয়েছে নাইট শিবির। একটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল।
প্রেক্ষাপট
চেন্নাই: দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে আইপিএল ইতিহাসে প্রথমবার নিজের প্রথম তিন ম্যাচেই জয়ের হ্যাটট্রিক করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। সোমবার চারে চার করে লিগ তালিকায় শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে নামবে নাইট শিবির। তবে প্রতিপক্ষ যে রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings)। লড়াইটাও তাঁদেরই ঘরের মাঠ চিপকে, যেখানে দুই দলের ১৩টি ম্যাচের মধ্যে নয়বারই জিতেছে হলুদ বিগ্রেড। কিন্তু নাইট শিবিরকে আশ্বস্ত করছে দুই ক্যারিবিয়ান তারকার ফর্ম।
চলতি মরশুমে গৌতম গম্ভীরের কেকেআরে প্রত্যাবর্তনে যেন ব্যাটার সুনীল নারাইনেরও (Sunil Narine) কামব্যাক ঘটেছে। একদা পিঞ্চ হিটার ওপেনারের ভূমিকায় গম্ভীরেরে নেতৃত্বাধীন কেকেআরের হয়ে ব্যাট হাতে আইপিএলের মঞ্চ মাতিয়েছেন নারাইন। মাঝে বেশ কয়েকবছর সেই নারাইনকে দেখা যায়নি। তবে এ মরশুমে যেন পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন তিনি। গত ম্যাচে ৩৯ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তার আগের ম্যাচে আরসিবির বিরুদ্ধে এসেছিল ২২ বলে ৪৭ রানের ইনিংস। বিগত দুই ম্যাচেই সেরা হয়েছেন নারাইন।
এখনও পর্যন্ত এ মরশুমের আইপিএলে ৬৫ বলে খেলে ৪৪টিতেই বড় শট হাঁকিয়েছেন নারাইন। তাঁর দৌলতেই এ মরশুমে পাওয়ার প্লেতে প্রতি ওভারে ১২ রান গড়ে রান তুলছে নাইট শিবির। চিপকের পিচের চরিত্র এ মরশুমে যেমন দেখাচ্ছে, তাতে কিন্তু ব্যাটে ভালভাবে বল আসছে এবং ব্যাটাররা সহজেই বলের লাইন ধরে বড় শট হাঁকাতে পারছেন। আজও যদি এমনটা হয়, তাহলে কিন্তু কেকেআরের পক্ষে তা বেশ লাভদায়ক হবে। শুরুতে নারাইন থাকলে, কেকেআরের হয়ে মিডল অর্ডারে রয়েছেন আন্দ্রে রাসেল (Andre Russell)। যে ম্যাচে নারাইন ম্যাচ সেরা হননি, সেই ম্যাচে সেরার পুরস্কারটি পেয়েছিলেন রাসেল।
৪৪ বলে এ মরশুমে ১০৫ রান করে ফেলেছেন তিনি। সিএসকে প্রতিপক্ষ হিসাবে আবার রাসেলের অত্যন্ত পছন্দের। তাঁর ১১টি আইপিএল অর্ধশতরানের মধ্যে চারটিই এসেছে সিএসকেরে বিরুদ্ধে। রাসেল-ম্যানিয়া রুখতে সিএসকের হাতিয়ার হতে পারেন মাথিশা পাথিরানার (Matheesha Pathirana) ফাস্ট বোলিং। ইনিংসের শুরুতে রাসেলের গতির বিরুদ্ধে খেলতে সামান্য সমস্যা হয় বলে অনেকেই মনে করেন। পাথিরানা রাসেলের বিরুদ্ধে তিন বল করে একবার তাঁকে আউট করেছেন। রবীন্দ্র জাডেজার বিরুদ্ধে অবশ্য রাসেল বেশ শান্তই থেকেছেন। ২৫ বলে ৩২ রান করেছেন জাডেজার বিরুদ্ধে।
তবে পাথিরানা গত ম্যাচে সিএসকের হয়ে খেলতে পারেননি। কোনও ঝুঁকি না নিতেই তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল বলে জানানো হয়। তাই তাঁর চোট কতটা গভীর, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েইছে। সিএসকের হয়ে এ মরশুমে মুস্তাফিজুর রহমান দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন। তাঁর গত ম্যাচে না থাকাটা হলুদ ব্রিগেডের বোলিংকে যে খানিকটা দুর্বল করেছে, তা বলাই বাহুল্য। কেকেআরের বোলিংয়ে তরুণ ব্রিগেডের পাশাপাশি বরাবরে মতোই ভরসা জোগাচ্ছেন নারাইন। তবে তাঁর অ্যান্টিডোট হতে পারেন শিবম দুবে (Shivam Dube)। স্পিনারদের বিরুদ্ধে বাঁ-হাতি ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট ২১৪। নারাইনের বিরুদ্ধে মঈন আলিও ১৮১ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন। সুতরাং, এই দুই ব্যাটার মিডল অর্ডারে বোলার নারাইনকে সামলাতে বড় অস্ত্র হতে পারেন।
প্রথাগতভাবে চিপকের ময়দান স্পিনসহায়ক। পোক্ত স্পিন বোলিংয়েই নিজেদের ডেরায় সিএসকে একের পর এক ম্যাচ জিতে এসেছে। এই মরশুমে সেই পিচের চরিত্র বদলেছে। দুই ম্যাচে ফাস্ট বোলাররই নিয়েছেন ১৮টি উইকেট, যেখানে স্পিনারদের সংগ্রহ কেবল চারটি। তবে তা সত্ত্বেও ঘরের মাঠে দুই ম্যাচই জিতেছে সিএসকে। কেকেআর সেই বিজয়রথ থামাতে পারে কি না, সেটাই দেখার।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -