মুম্বই: শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২২ রান। তার আগে উমরন মালিকের (Umran Malik) তাণ্ডব চলেছে। ঋদ্ধিমান সাহার (Wriddhiman Saha) দুরন্ত হাফসেঞ্চুরির পরেও চাপে গুজরাত টাইটান্স (Gujarat Titans)। কেন উইলিয়ামসন বল তুলে দিলেন মার্কো জানসেনের হাতে।


নাটকীয় শেষ ওভার


পরের ৫ বলে উঠল যথাক্রমে ৬, ১, ৬, ০, ৬ ও ৬ রান। শেষ ওভারে ২৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে নিল গুজরাত টাইটান্স। হায়দরাবাদকে হারিয়ে দিল ৫ উইকেটে। এই জয়ের ফলে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ফের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এল গুজরাত। অবিশ্বাস্য ব্যাটিং রাহুল তেওয়াটিয়া ও রশিদ খানের। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২২ রান দরকার ছিল গুজরাতের। শেষ বলে সেই লক্ষ্যপূরণ করে ফেলল হরায়দরাবাদ। শেষ ওভারে ৪টি ছক্কা মারলেন তেওয়াটিয়া ও রশিদ খান। ১১ বলে ৩১ রানে অপরাজিত রশিদ। তেওয়াটিয়া ২১ বলে অপরাজিত ৪০ রানে। ৫ উইকেটে জয়ী গুজরাত টাইটান্স।


আগুনে বোলিং উমরনের


বিধ্বংসী স্পেল উমরন মালিকের। ৪ ওভারে ২৫ রানে ৫ উইকেট নিলেন। যা দেখে ড্রেসিংরুমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেল সানরাইজার্সের বোলিং গুরু ডেল স্টেইনের। তবু শেষ পর্যন্ত মাথা নীচু করে মাঠ ছাড়তে হল হায়দরাবাদ ক্রিকেটারদের।


প্রতিপক্ষ বোলিং লাইন আপে মহম্মদ শামির (Mohammed Shami) মতো বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসার। রশিদ খানের (Rashid Khan) মতো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা স্পিনার। লকি ফার্গুসনের (Lockie Ferguson) মতো ধারাবাহিকভাবে ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটার গতিতে বল করে যাওয়া পেসার।


পাল্টা লড়াই


সব সামলে বড় স্কোর করেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (SRH)। গুজরাত টাইটান্সের (GT) বিরুদ্ধে প্রথমে ব্য়াট করে তুলেছিল ১৯৫/৬। ব্যাট হাতে অবদান রাখলেন অভিষেক শর্মা ও এইডেন মারক্রাম। দুজনই ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরি করলেন। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৪২ বলে ৬৫ রান করলেন অভিষেক। চার নম্বরে নেমে ৪০ বলে ৫৬ রান করলেন মারক্রাম। শেষ ওভারে চমক শশাঙ্ক সিংহের। লকির এক ওভারে ৪টি ছক্কা মারলেন তিনি। উঠল মোট ২৫ রান। গুজরাতের সামনে ম্যাচ জয়ের লক্ষ্য ছিল ১৯৬ রানের। রান তাড়া করতে নেমে ৩৮ বলে ৬৮ রান করে পাল্টা লড়াইয়ের রিংটোনটা সেট করে দিয়ে যান বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা। ১১টি চার ও একটি ছক্কা মেরেছেন তিনি।