আমদাবাদ: আইপিএল (IPL) অভিষেকেই সাফল্য। প্রথমবার আইপিএলে নেমেই চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটান্স (Gujarat Titans)। আইপিএলের বয়স পনেরো হয়ে গেলেও গুজরাতের এটাই প্রথম আইপিএল। আর সেই টুর্নামেন্টে শুরু থেকে দাপট দেখান হার্দিক পাণ্ড্য-ডেভিড মিলার-মহম্মদ শামিরা। শেষ পর্যন্ত রবিবার ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হেলায় হারিয়ে প্রথমবার আইপিএলে নেমেই ট্রফি জিতে নিল গুজরাত। ১১ বল বাকি থাকতে রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিল গুজরাত টাইটান্স। 


হার্দিক অধিনায়ক হিসেবে নজর কেড়ে নিয়েছেন। প্রথমবার বড় মঞ্চে কোনও দলকে তিনি নেতৃত্ব দিলেন। আর প্রথম বারেই বাজিমাত। গুজরাত টাইটান্সকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন হার্দিক। যে দলটি এই বছর আইপিএলে অভিষেক ঘটিয়েছে। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ফাইনালে হার্দিকই ম্যাচের রং বদলে দিয়েছিলেন। ম্যাচটি গুজরাত ৭ উইকেটে জিতে যায়।


পিঠের চোট সারিয়ে এই টুর্নামেন্টে হার্দিক তাঁর অলরাউন্ড দক্ষতা মেলে ধরেছেন। দর্শকরাও মন্ত্রমুগ্ধ। এবং আইপিএলের পারফরম্যান্সের হাত ধরে তিনি ফের ফের জাতীয় দলেও জায়গা করে নিয়েছেন।


ফাইনালে তো হার্দিকের বলেই রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটিং অর্ডারের মেরুদণ্ড ভেঙে যায়। সঞ্জু স্যামসন, জস বাটলার এবং শিমরন হেটমায়ারের মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন তিনি। হার্দিকের দাপটে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩০ রানে আটকে যায় রাজস্থানের ইনিংস। ব্যাট হাতেও হার্দিক ৩০ বলে ৩৪ রান।


ম্যাচ জেতানোর পিছনে বড় ভূমিকা নিয়ে ২৮ বছরের তারকা ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন। হার্দিকের পরবর্তী লক্ষ্য কী? উত্তরে গুজরাত টাইটান্সের অধিনায়ক বলেছেন, ‘যাই ঘটে যাক না কেন, ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ জিততে হবে। আমি আমার সর্বস্ব নিংড়ে দেব। দলকে সবার আগে রাখি। আমার লক্ষ্য সহজ। আমার দল যাতে জিততে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে চাই।’


জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে হার্দিক দাবি করেন, ‘দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য সব সময়েই আনন্দের ছিল। দীর্ঘমেয়াদী, স্বল্পমেয়াদী, যাই ঘটুক না কেন, আমি বিশ্বকাপ জিততে চাই।’


আরও পড়ুন: ইতিহাসে নাম তুলেছেন, দর্শকঠাসা ইডেনে স্বপ্নপূরণ করতে চান দোরজি