নয়াদিল্লি: রোমাঞ্চকর আরও একটা ম্যাচ। ঘরের মাঠে আরসিবির বিরুদ্ধে হেরে গেল দিল্লি ক্যাপিটালস। বিরাট, ক্রুণালের অর্ধশতরানের ওপর ভর করে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নিল আরসিবি। ১৬৩ রান তাড়া করতে নেমে ৯ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে গেল আরসিবি। এই জয়ের ফলে ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় শীর্ষে চলে গেল রজত পাতিদারের দল। 

১৬৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে বেথেল ও বিরাট কোহলি ওপেনিংয়ে জুটি বেঁধেছিলেন। এদিন উইকেট ব্যাটারদের জন্য প্রথম ইনিংসে একটু কঠিন ছিল। সেই কথা ভেবেই অক্ষর পটেল নিজেই বল হাতে প্রথম আক্রমণে আসেন। বেশ চাপেই রাখছিলেন বিরাটকে। ব্যাটই চালানোর সুযোগ পাচ্ছিলেন না দুই ওপেনার। ৬ বলে ১২ রান করে অক্ষরের শিকার হন বেথেল। সেই ওভারেই ফর্মে থাকা দেবদত্তকে বোল্ড করে দেন অক্ষর। সেই সময় মনে হচ্ছিল দিল্লি এই ম্যাচ জিতে যাবে। কিন্তু এখান থেকেই গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন বিরাট ও ক্রুণাল। বাঁহাতি অলরাউন্ডার শুরুতে স্ট্রাইক রোটেড করছিলেন শুধু। কিন্তু মুকেশ কুমারের ওভারগুলোই যেন ম্যাচ আরসিবির জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করে দেয় বারবার। এদিন ৩.৩ ওভারে কোনও উইকেট না পেলেও ৫১ রান খরচ করেন মুকেশ। পরের ম্যাচে আদৌ একাদশে সুযোগ পাবেন কি না, তা নিশ্চিত নয়। ক্রুণাল শেষ ৫ ওভারের মধ্যে মুকেশের ২ ওভারেই একের পর এক চার, ছক্কা হাঁকিয়ে দিল্লির জেতার আশায় জল ঢেলে দেন। বিরাট ৫১ রান করে প্যাভিলিয়ন ফিরলেও ক্রুণাল ৭৩ রান করে অপরাজিত থাকলেন। ২০১৬ সালে আইপিএলে প্রথমবার অর্ধশতরান করেছিলেন। সেদিনও উল্টোদিকে দিলি ছিল। আজ দ্বিতীয়বার সেই দিল্লির বিরুদ্ধেই  ফের অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন ক্রুণাল। 

এর আগে টস জিতে এদিন রজত পাতিদার ফিল্ডিং নেন। অভিষেক পোড়েলের সঙ্গে এদিন ফাফ ডু প্লেসিই নেমেছিলেন ওপেনিংয়ে। চোট সারিয়ে ফিরেছিলেন প্রোটিয়া তারকা। পোড়েল অবশ্য বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন। ১১ বলে ২৮ রানের ইনিংসে দুটো বাউন্ডারি ও দুটো ছক্কা হাঁকান তিনি। ভুবনেশ্বর কুমারকেই বেশি আক্রমণ করছিলেন পোড়েল। তবে তরুণ উইকেট কিপার ব্য়াটারকে ফিরিয়ে দেন হ্যাজেলউড। করুণ নায়ার এদিন মাত্র ৪ রান করেই ফিরে যান যশ দয়ালের বলে ক্যাচ আউট হয়ে। ডু প্লেসি ২৬ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর অক্ষর পটেলকে সঙ্গে নিয়ে কে এল রাহুল দলের হাল ধরেন। আরসিবির বিরুদ্ধে আগের ম্য়াচে দিল্লির জয়ের নায়ক ছিলেন রাহুল। এদিন অবশ্য পিচ বুঝে খানিকটা স্লো খেলার চেষ্টা করছিলেন। ৩৯ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। অক্ষর ১৫ রান করে আউট হয়ে যান। স্টাবস ১৮ বলে ৩৪ রানের ইনিংসে পাঁচটি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কাও হাঁকান। বিপরাজ নিগমও এদিনও রান পাননি। ত্রিস্টান স্টাবসই এরপর দলের হাল ধরেন। তিনি চালিয়ে খেলতে থাকেন। ১৮ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়ন ফেরেন স্টাবস। নিজের ইনিংসে পাঁচটি বাউন্ডারি ও একটি পেল্লাই ছক্কা হাঁকান প্রোটিয়া তারকা। তবে এদিন ডু প্লেসি যদি পাওয়ার প্লে-তে একটু চালিয়ে খেলতেন, তবে দলের স্কোর তিনশোর কাছাকাছিও পৌঁছে যেতে পারত।