কলকাতা: গত ৪৮ ঘণ্টা দ্রুত ভুলতে চাইবেন চেন্নাই সুপার কিংসের সমর্থকেরা। শুক্রবার প্রথমে জানা যায় যে, একজন ক্রিকেটার-সহ সিএসকে শিবিরের একাধিক সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবু সকলে আশায় বুক বেঁধেছিলেন কারণ, শনিবার করোনা পরীক্ষার আর একটি রিপোর্ট হাতে আসার কথা ছিল। তবে শনিবার আক্রান্তদের রিপোর্ট পজিটিভই এসেছে। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো, আরও এক ক্রিকেটারের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে এদিন। সিএসকে শিবির আরও জোরাল ধাক্কা খেয়েছে কারণ, পারিবারিক কারণে আইপিএল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দলের অন্যতম ব্যাটিং স্তম্ভ সুরেশ রায়না!



কী অবস্থা মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের অন্দরমহলের? দুবাইয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা শুরু হয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে প্রথম ধাপ হিসাবে, করোনা আক্রান্ত সকলকে অন্য হোটেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় সিএসকে-র এক কর্তা মোবাইল ফোনে এবিপি আনন্দকে বললেন, ‘আক্রান্ত সকলকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অন্য় হোটেলে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে কোয়ারেন্টিনে আছে সকলে। দলের বাকিদের আইসোলেশনে থাকতে হচ্ছে।’



সিএসকে শিবির সবচেয়ে বড় ধাক্কা মনে করছে প্র্যাক্টিসে নামা আটকে যাওয়াকে। আক্রান্তদের আপাতত ১৪দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। বোর্ডের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) অনুযায়ী, তার মধ্যে দুবার করোনা পরীক্ষা হবে সকলের। দুটি পরীক্ষার রিপোর্টই নেগেটিভ এলে তবেই তাঁরা দলের বাকিদের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন। ফিরতে পারবেন জৈব সুরক্ষা বলয়ে। সব মিলিয়ে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগে প্র্যাক্টিস শুরু করা সম্ভব হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

কারা আক্রান্ত হয়েছেন, সংক্রমিত দুই ক্রিকেটারই বা কারা, সে ব্যাপারে চেন্নাই সুপার কিংস বা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে জানা গিয়েছে, একজন বোলার আর একজন ব্যাটসম্যান। শনিবার ভারতীয় বোর্ডের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে যে, ২০ থেকে ২৮ অগাস্টের মধ্যে ১৯৮৮টি করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যাঁদের পরীক্ষা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ক্রিকেটারেরা ছাড়াও আছেন সাপোর্ট স্টাফ, টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্য, বোর্ডের কর্মী ও হোটেলকর্মীরা। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পৌঁছনোমাত্র বিমানবন্দরে সকলের একবার পরীক্ষা হয়েছিল। তারপর হোটেলে তৃতীয় ও ষষ্ঠদিনে আরও দুবার পরীক্ষা হয়। মনে করা হচ্ছে, তৃতীয় পরীক্ষাতেই সংক্রমণ ধরা পড়েছে। বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে, মোট ১৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ। যাঁদের মধ্যে দুজন ক্রিকেটার। তবে প্রত্যেকেই উপসর্গহীন বলে জানানো হয়েছে।

সুরেশ রায়নার বিকল্প কে হতে পারে, শনিবার রাত পর্যন্ত সিএসকে কর্তৃপক্ষ সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি। আর মহেন্দ্র সিংহ ধোনি? ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের পর থেকে যাঁকে মাঠে দেখা যায়নি আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণার পর আইপিএলই হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে তাঁর প্রত্যাবর্তন। সিএসকে শিবিরের খবর, দলের একাধিক সদস্য করোনা আক্রান্ত হওয়ায় নিজেকে হোটেলের ঘরে বন্দি করে রেখেছেন ধোনি। দলের একজন ফোনে বললেন, ‘ধোনি নিজেকে হোটেলের রুমে আইসোলেট করে রেখেছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই চলছে।’