শারজা: ঠিক যেন ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরল। ওয়াংখেড়েতে সেদিন ঠিক যেভাবে ছক্কা হাঁকিয়ে দেশকে বিশ্বজয়ের মুহূর্ত উপহার দিয়েছিলেন, তেমনই। এদিন শারজায় ছক্কা হাঁকিয়ে সিএসকেকে প্লে অফে তুলে দিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। চেন্নাই ইনিংসের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে সিদ্ধার্থ কৌলের বল গ্যালারিতে ফেললেন। আর সেই সঙ্গেই এবারের আইপিএলে প্রথম দল হিসেবে প্লে অফে উঠে গেল সিএসকে। গত বছর বাদ দিলে ১২ বার অংশগ্রহণ করে এই নিয়ে মোট ১১ রান প্লে অফের টিকিট পাকা করল সিএসকে। অন্যদিকে অফিশিয়ালি টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
বোলাররা অর্ধেক কাজ করেই রেখেছিলেন। মাত্র ১৩৫ রান তাড়া করতে নেমে কোনও ভুল করেনি সিএসকের ওপেনিং জুটি। ঋতুরাজ গায়কোয়াড ও ফাফ ডু প্লেসি জুটি চলতি আইপিএলে ভীষণভাবে সফল। এদিনও ম্যাচের প্রথম ১০ ওভারেই বোর্ডে সত্তরের ওপর রান তুলে দিয়ে দলের জয়ের রাস্তা আরও সহজ করে দিলেন ২ জন। গায়কোয়াড ৩৮ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন। ডু প্লেসিও ৩৬ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন। এই জুটিই মূলত চেন্নাইয়ের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। মাঝে যদিও ম্যাচে কিছুটা রোমাঞ্চ এনে দিয়েছিলেন জেসন হোল্ডার। পরপর ২ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সানরাইজার্সের সম্ভাবনায় পুরো জয় ঢেলে দেন ধোনি। আম্বাতি রায়ডুকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচে দলকে জয় পাইয়ে মাঠ ছাড়েন সিএসকে অধিনায়ক। ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন ধোনি। অন্যদিকে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন রায়ডু।
এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক ধোনি। সানরাইজার্স এদিন ডেভিড ওয়ার্নারের বদলি হিসেবে জেসন রয়কে দলে নিয়েছিল। কিন্তু সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারলেন না রয়। মাত্র ২ রান করে জশ হ্যাজেলউডের বলে আউট হয়ে ফিরলেন তিনি। চলতি আইপিএলে সানরাইজার্সের হয়ে প্রথম ম্যাচ থেকেই ওপেনিংয়ে নেমে এসেছেন বাংলার ঋদ্ধিমান। এদিনও নেমেছিলেন। আর শুরু থেকেই মারমুখি মেজাজে ব্যাটিং করছিলেন ঋদ্ধি। কিন্তু উলটোদিকে পরপর উইকেট পড়তে থাকে। ফলে রানের গতি বাড়াতে পারেননি বাংলার পাপালি। শেষ পর্যন্ত ৪৪ রানের মাথায় আউট হয়ে যান এই অভিজ্ঞ উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান। নিজের ইনিংসে ১টি বাউন্ডারি ও ২টো ওভার বাউন্ডারি হাঁকান ঋদ্ধি। তাঁকে ফেরান জাদেজা। এরপর আর কোনও ব্যাটসম্যানই দায়িত্ব নিতে পারেননি। ব্যর্থ হন কেন উইলিয়ামসন ও প্রিয়ম গর্গ। অভিষেক শর্মা ও আব্দুল সামাদ দুজনেই ১৮ রান করেন ব্যক্তিগতভাবে। এদিন হারের সঙ্গে সঙ্গে ১১ ম্যাচের মধ্যে ৯ ম্যাচেই হারের মুখ দেখল সানরাইজার্স।