দুবাই: রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচে জয়ের পরই নাচে মত্ত আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। শুধু তিনি একাই নন। তাঁর সঙ্গে নাচলেন এবি ডেভিলিয়ার্স ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও। দল ছন্দে ফিরেছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনও প্লে অফ পাকা হয়নি। তাহলে এত আনন্দ কিসের? আসলে পুরোটাই শুটিংয়ের অঙ্গ। আরসিবির স্পনসর পুমার পক্ষ থেকে একটি ভিডিও শ্যুটের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই দেখা যাচ্ছে নাচে মত্ত বিরাট কোহলি ও আরসিবি শিবিরের ২ তারকা ক্রিকেটার। 


পুমার তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেখানেই এই ক্লিপিংস ভাইরাল হয়েছে বিরাটের নাচের। সেই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে ,'তুমি কি এভাবে নাচতে পারবে?' বিরাটকে মাঝে মাঝেই খেলার ফাঁকে মাঠেই ভাঙড়া নাচতে দেখা গিয়েছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের উদ্দীপ্ত করার জন্য ফিল্ডিং করতে করতেই ভাংড়া নাচতে দেখা গিয়েছিল কোহলিকে। 


 






বৃহস্পতিবারই রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে আরসিবি। মাত্র ১৪৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় আরসিবি। অল্প রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমেছিল আরসিবি। ওপেনিংয়ে বিরাট-দেবদত্ত মিলে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। আরসিবি শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন এদিন মুস্তাফিজুর। তিনি দেবদত্তকে ফিরিয়ে দেন বোল্ড করেন। ২২ রানে আউট হন তরুণ ওপেনার। বিরাট যদিও ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন। ২৫ রান করে তিনি প্যাভিলিয়ন ফিরে যান। এরপর যদিও আর চাপ বাড়েনি আরসিবির। কারণ সেখান থেকেই ম্যাচের রাশ নিজেদের দিকে নিয়ে নেন ম্যাক্সওয়েল ও ভরত। ২ জনেই চালিয়ে খেলা শুরু করেন। ম্যাক্সওয়েল এদিনও ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। বিশেষ করে রাজস্থান বোলার ক্রিস মরিসের প্রতি ২ জনই ছিলেন ভীষণ নির্দয়। ভরত ৪৪ রান করে এদিন মুস্তাফিজুরের শিকার হন। যদিও ফেরার আগে ৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। তবে ম্যাক্সওয়েলকে আটকানো যায়নি। এবিডিকে সঙ্গে নিয়ে এদিন দলকে জই পাইয়ে দেন তিনি। ৩০ বলে অপরাজিত ৫০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ম্যাক্সওয়েল। নিজের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন তিনি।