মুম্বই: দেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ চেহারা নিচ্ছে। অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমিত ও মৃতের সংখ্যা। দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নতুন করে লকডাউনের পথে হাঁটছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। ছাড় মিলছে শুধু জরুরি পরিষেবায়। চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, করোনা ঠেকাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাস্কের ব্যবহার ও শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলা। এবার মাস্ক ব্যবহারের কথা মনে করিয়ে দিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্রিকেটার অজিঙ্ক রাহানেও।


সোমবার কন্যা আরিয়ার সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন রাহানে। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, রাহানের মুখে মাস্ক। আর তাঁর খুদে কন্যা সেটিকে ধরে টানছে। রাহানে মজা করে ক্য়াপশন লেখেন, 'ওর হয়তো এটা (পড়ুন মাস্ক) অদ্ভুত লাগছে। তবে আমাদের বাইরে বেরতে হলে এটা অবশ্যই পরা উচিত। দয়া করে মাস্ক পরুন, নিরাপদে থাকুন।' রাহানের সেই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই সেটি শেয়ারও করেন। 



বাংলাতেও করোনা ক্রমশ জটিল হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সোমবার বৈঠক করে ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে ফেললেন পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আলিপুরের উত্তীর্ণ ভবনে তিনি বৈঠক করেন তাঁর দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক শান্তনু সেন, চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী প্রমুখ। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রাজ্যে তৈরি করা হবে বেশ কিছু সেফ হোম ও কোয়ারেন্টিন সেন্টার। আলিপুরে উত্তীর্ণ ভবনেই ৪00 শয্যার সেফ হোম তৈরি হবে। এছাড়াও আনন্দপুরে ৭00 শয্যার, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে ২00 বেডের সেফ হোম তৈরি করার পরিকল্পনা করছেন। রাজ্য সরকার আরও বেশ কিছু সেফ হোম তৈরির পরিকল্পনা আছে, জানালেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি আরও বলেন, বাইরে দশটি করে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকবে।


করোনা রুখতে সচেষ্ট দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালও। তিনি বলেছেন, "আমরা এখনই লকডাউন না চালু করলে সংক্রমণের মাত্রা বাড়তে পারে। আমরা দিল্লিকে কোনও অবস্থাতেই সেই পরিস্থিতির দিকে যেতে দিতে পারি না।"


বিরাট না ধোনি, কার উইকেট নিতে চান শামি? সাফল্যের নেপথ্যে কী?