আবু ধাবি : দলের খেলোয়াড়দের ভয়ডরহীন ক্রিকেট দেখে উচ্ছ্বসিত কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক অইন মর্গ্যান। তিনি এবং দলের হেড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম এই ঘরানার ক্রিকেটই পছন্দ করেন, একথা বলাই বাহুল্য।
গতকাল মুম্বইয়ের ১৫৫ রান তাড়া করতে নেমে ১৫.১ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কেকেআর। ব্যাট হাতে শুরু থেকে দাপট দেখান কেকেআরের ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ৩০ বলে ৫৩ রান করেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। আইপিএলে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। তিন নম্বরে নেমে রাহুল ত্রিপাঠি ৪২ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন রাহুল। এই জয়ের সাথে সাথে কেকেআর পয়েন্ট টেবিলে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এএনআই-এর প্রশ্নের জবাবে মর্গ্যান বলেন, এটা খুবই সন্তোষজনক। ড্রেসিং রুমের প্রত্যেকের কাছে সেরাটা চাই। গত দুটি ম্যাচে আমরা যে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছি, সেই খেলাটাই আমাদের দলের প্রতিভাবান ছেলেদের মানায়। আমি বুঝতে পারছি যে, ওঁদের মধ্যে কেউ কেউ একের পর এক ঝুঁকি নিতে অদ্ভুত বোধ করছেন। কিন্তু, ওঁদের এটাই করতে হবে। ওঁরা সত্যি করেই প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান ও বোলার। ওঁদের আরও ভাল করতে হবে।
এই ম্যাচের আগে কেকেআরের খারাপ রেকর্ড ছিল মুম্বইয়ের বিরুদ্ধ। ২৮টি ম্যাচে মাত্র ৬টিতে জিতেছে তারা। অথচ তিনি, শাহরুখ খান যে এই ম্যাচটাই বরাবর সবচেয়ে মরিয়াভাবে জিততে চেয়েছেন। এমনকী, বারবার মুম্বইয়ের কাছে হারতে হারতে এক সময় টিম মিটিংয়ে তো তিনি বলেই ফেলেছিলেন যে, মুম্বই শহর আমাকে বাজিগর বলে ডাকে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচটা অন্তত জেতো। শাহরুখের ইচ্ছাকে বৃহস্পতিবার পূর্ণ মর্যাদা দেন তাঁর ক্রিকেটারেরা।
আইয়ার ও ত্রিপাঠি দলের ভাগ্য বদলাতে শুরু করেছেন। যদিও মর্গ্যান বলেন, আমি মনে করি না যে শুধুমাত্র একজন(বেঙ্কটেশ আইয়ার) ক্রিকেটার দলের চেহারা বদলে দিয়েছেন। গত দুই ম্যাচে আমাদের সুপারস্টার- বোলাররা। ওঁদের জন্যই আমাদের ওপেনাররা স্বাভাবিক খেলা খেলতে পেরেছেন। বেঙ্কটেশ মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে যে খেলাটা খেলেছেন সেটা আইপিএলে ৫০ ম্যাচ খেলা একজন খেলোয়াড়কে মানায়। নিজের ফর্ম বজায় রেখেছেন বেঙ্কটেশ। কিন্তু, শুধুমাত্র একজন খেলোয়াড়ের জন্য নয়, এটা দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা; যে পথটা দেখিয়েছেন বোলাররা।