কলকাতা: আইপিএল স্থগিত হয়ে গিয়েছে। অংশগ্রহণকারী আট দলের মধ্যে চার শিবিরে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের অনেকেই। কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে দুজন করোনায় আক্রান্ত। বিস্ময় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও সন্দীপ ওয়ারিয়র। তবে উদ্বেগে রয়েছেন বাকিরা। যাঁরা এই দুজনের সংস্পর্শে এসেছিলেন।


এই পরিস্থিতিতে আমদাবাদেই আটকে পড়তে হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই ক্যারিবিয়ান তারকা আন্দ্রে রাসেল ও সুনীল নারাইনকে। এখনও তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারেননি। কবে ফিরতে পারবেন, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।


কেকেআর শিবিরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ৪ মে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে আইপিএল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপরেই দীনেশ কার্তিক, নীতিশ রানা, শুভমন গিল-সহ কলকাতা নাইট রাইডার্সের বেশিরভাগ ক্রিকেটার বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়ে যান। অধিনায়ক অইন মর্গ্যান, স্পিন বোলিং কোচ কার্ল ক্রো-রাও বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তবে তাঁরা মলদ্বীপ হয়ে যাচ্ছেন। অস্ট্রেলীয় তারকা প্যাট কামিন্সরাও। বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফিরে গিয়েছেন শাকিব আল হাসান। তাঁর সঙ্গেই রাজস্থান রয়্যালসে খেলা পেসার মুস্তাফিজুর রহমান একই বিমানে ঢাকায় ফিরেছেন। তবে রাসেল ও নারাইন আটকে পড়েছেন আমদাবাদেই। কেন?


কেকেআর শিবিরের একজন বললেন, "করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জন্য ভারত থেকে বিমানযাত্রা নিয়ে কিছু বিধিনিষেধ চালু হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। খুব কম সংখ্যক বিমানই চলাচল করছে। দ্রে (দলে রাসেলের ডাকনাম) ও সুনীল ফেরার বিমান পাচ্ছে না। তাই ওরা আমদাবাদের টিম হোটেলেই রয়েছে।" ক্রিকেটারদের ফেরার দিকটা তত্ত্বাবধান করছেন, কেকেআরের এমন এক সদস্য এবিপি লাইভকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানালেন, রাসেল ও নারাইন কবে ফিরবেন ধন্দ রয়েছে। দুই ক্রিকেটারের পাশাপাশি ও দু'দেশের সরকারের মধ্যেও কথোপকথন চলছে। রাসেলদের সঙ্গে একই বিমানে চেন্নাই সুপার কিংসের ডোয়েন ব্র্যাভো, পঞ্জাব কিংসের নিকোলাস পুরান, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জেসন হোল্ডার, দিল্লি ক্যাপিটালসের শিমরন হেটমায়ারদের ফেরানোর চেষ্টা চলছে।


তবে শুধু দুই ক্যারিবিয়ান তারকা নয়। ক্রিকেটার, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের এক ঝাঁকও আটকে রয়েছেন আমদাবাদে। কেকেআর থেকে এবিপি লাইভ-কে জানানো হল, কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম, পেসার লকি ফার্গুসন, বোলিং কোচ কাইল মিলস-সহ নিউজিল্যান্ডের মোট পাঁচজন আমদাবাদেই রয়েছেন। দু-একদিনের মধ্যে তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে।


করোনা আক্রান্ত বরুণ শুরুতে জ্বর ও ডায়েরিয়ার মতো উপসর্গে কাবু ছিলেন। তবে এখন অনেকটাই ভাল আছেন। সন্দীপও অনেকটা সুস্থ। যদিও তিনি ও তাঁর স্ত্রী আরতি পড়েছেন অন্য সমস্যায়। কেরলের ক্রিকেটারের স্ত্রী শুরুতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন না। পরে তিনি আমদাবাদে পৌঁছন ও বায়ো বাবলে ঢোকার আগে নিয়মমাফিক কোয়ারেন্টিন পর্ব কাটান। আরতির ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন পর্ব ঠিক শেষ হওয়ার মুখেই সংক্রমিত হন সন্দীপ। এখন সন্দীপ নিভৃতবাসে। ফলে একই হোটেলে থেকেও কার্যত দু'জায়গায় বন্দি থাকতে হচ্ছে দুজনকে।


"জান হ্যায় তো জাঁহা হ্যায়", কেকেআর ক্রিকেটারদের বললেন শাহরুখ