দুবাই: আইপিএলে নজির গড়লেন যশপ্রীত বুমরা। খেলে ফেললেন সেঞ্চুরি ম্যাচ। রবিবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে বুমরার শততম ম্যাচ। বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে স্পেশ্যাল জার্সি পরে মাঠে নামলেন আমদাবাদের পেসার। যে জার্সির পিছনে জ্বলজ্বল করছিল ১০০ নম্বর।


তবে মুম্বই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে শততম ম্যাচে সুখের অভিজ্ঞতা হল না বুমরার। কারণ, চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে ২০ রানে ম্যাচ হারতে হল তাঁদের। আইপিএলে ১০০টি ম্যাচে ১১৭টি উইকেট নিয়েছেন বুমরা। সবচেয়ে আকর্ষণীয় হচ্ছে তাঁর ইকনমি রেট। ওভার প্রতি মাত্র ৭.৪০ রান করে খরচ করেছেন বুমরা।


যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালেয আমদাবাদের পেসারকে সই করিয়েছিলেন মুম্বই। তারপর লাসিথ মালিঙ্গার সান্নিধ্যে বুমরার ইয়র্কারে হাত পাকানো। এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতেই বুম বুম বুমরা হয়ে ওঠা। অদ্ভুত অ্যাকশন, দুরন্ত গতি, নিখুঁত নিশানায় একের পর এক ইয়র্কার, সব মিলিয়ে বিশ্বের সেরা বোলার হয়ে ওঠা।


সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচেই দাপট মহেন্দ্র সিংহ ধোনির যোদ্ধাদের। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ২০ রানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এল চেন্নাই সুপার কিংস।


শুরুতে বোলারদের দাপট। সেখান থেকে ব্যাটসম্যানদের প্রত্যাবর্তন। বাউন্সার, ইয়র্কার, সপাটে পুল, মিস হিট হাউন্ডারি পার করে দেওয়া। টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সবরকম মশলাই মজুত ছিল আইপিএলের প্রত্যাবর্তনের মঞ্চে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে চেন্নাই সুপার কিংস তুলেছিল ১৫৬/৬। ৫৮ বলে অপরাজিত ৮৮ রান করে সিএসকে-র নায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। শেষ দিকে ৮ বলে ২৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ডোয়েন ব্র্যাভোও নজর কাড়লেন। ব্যাট হাতে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, সুরেশ রায়নাদের ব্যর্থতা চাপা পড়ে গেল রুতুরাজ-ব্র্যাভোদের দৃঢ়তায়।


১৫৭ রান তাড়া করতে নেমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের শুরুটা খারাপ হয়নি। ৫ ওভারে ৩৫ রান তুলে ফেলেছিল তারা। তবে কুইন্টন ডি'কক ও অনমোলপ্রীত সিংহকে পরপর ফিরিয়ে চেন্নাইকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন দীপক চাহার। ৪ ওভারে যিনি মাত্র ১৯ রান খরচ করে ২ উইকেট তুলে নেন। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে মুম্বই। একমাত্র সৌরভ তিওয়ারি (৪০ বলে ৫০ রান) ছাড়া আর কেউই রান পাননি।