দুবাই: সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মাটিতে ব্যাট হাতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) ওপেনার বেঙ্কটেশ আইয়ারের বিক্রম চলছে। শুক্রবার পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরি করলেন মধ্যপ্রদেশের ক্রিকেটার। তাঁর ব্যাটের দাপটে প্রথমে ব্যাট করে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে কেকেআর তুলল ১৬৫/৭।


ব্যাটিংয়ে ঝোড়ো শুরু করে কেকেআর। প্রথম ওভারে ফ্যাবিয়েন অ্যালেনকে জোড়া বাউন্ডারি মারেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। তৃতীয় ওভারে নাইট শিবিরে প্রথম ধাক্কা দেয় পঞ্জাব। অর্শ্বদীপ সিংহের বলে ফিরলেন শুভমন গিল (৭ বলে ৭ রান)। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারের শেষে কেকেআরের স্কোর ছিল ৪৮/১। ২৬ বলে ৩৪ রান করে ফেরেন রাহুল ত্রিপাঠি। ৩৯ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। আইপিএলে নিজের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি আইয়ারের।


৪৯ বলে ৬৭ রান করে আউট হলেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। কেকেআরের স্কোর তখন ১২০/৩। অইন মর্গ্যানের ব্যাটিং ব্যর্থতা চলছে। মাত্র ২ রান করে মহম্মদ শামির বলে এদিন আউট হলেন তিনি। কেকেআরের স্কোর তখন ১২৪/৪। এরপর ঝোড়ো ইনিংস খেলেন নীতিশ রানা। মাত্র ১৮ বলে ৩১ রান করে অর্শ্বদীপের বলে আউট হলেন নীতিশ।


পঞ্জাব বোলারদের মধ্যে অর্শ্বদীপ ও রবি বিষ্ণোই দুটি করে উইকেট পান। এক উইকেট শামির।


আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও পঞ্জাব কিংস ম্যাচ বরাবর বাড়তি গুরুত্ব পেয়ে এসেছে। কারণ এই ম্যাচ মানে তো জড়িয়ে পড়বে বলিউড। একদিকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক শাহরুখ খান। অন্যদিকে পঞ্জাব কিংসের মালকিন প্রীতি জিন্টা। পর্দায় যাঁদের রসায়ন সকলকে মন্ত্রমুগ্ধ করেছে। বীর-জারা তো গোটা বিশ্বে সমাদৃত হয়েছিল।


কেকেআর বনাম পঞ্জাব ম্যাচকে তাই বীর-জারার লড়াই বলা হয়। আর এই ম্যাচে তৈরি হয় অদ্ভূত সব দৃশ্য। একদিকে মাঠে যখন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে দুই দলের, তখন গ্যালারিতে দুই বন্ধু শাহরুখ-প্রীতি। ম্যাচের পর যাঁরা একে অপরকে আলিঙ্গন করবেন। ২০১৪ সালের আইপিএলের ফাইনালে পঞ্জাবকে হারিয়েই ট্রফি জিতেছিল কেকেআর। আর ম্যাচের পর জার্সি বিনিময় করেছিলেন শাহরুখ ও প্রীতি। বিষণ্ণ পঞ্জাব মালকিনকে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন কিংগ খান।


শুক্রবার অবশ্য গ্রুপ পর্বের ম্যাচ। আর দুই দলের কাছেই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। দুই দলই ১১টি করে ম্যাচ খেলেছে। কেকেআরের পয়েন্ট ১০। টেবিলে চার নম্বরে রয়েছে শাহরুখের দল। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে পঞ্জাবের পয়েন্ট ৮। টেবিলে ৬ নম্বরে রয়েছে প্রীতির দল। শুক্রবার হেরে গেলে পঞ্জাবের প্লে অফের স্বপ্ন কার্যত শেষ হয়ে যাবে। কেকেআর জিতলে প্লে অফের দিকে আরও এক কদম এগিয়ে যাবে। আর হারলে পড়তে হবে অঙ্কের জাঁতাকলে।


কেকেআর এই ম্যাচে পাচ্ছে না অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলকে। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন রাসেল। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচেও খেলেননি তিনি। শুক্রবার পঞ্জাব কিংস ম্যাচেও রাসেলকে পেল না কেকেআর। পাশাপাশি নাইট শিবিরের কাছে বড় ধাক্কা পেসার লকি ফার্গুসনকে না পাওয়াটা। তাঁর পরিবর্তে কেকেআরের হয়ে অভিষেক হচ্ছে টিম সিফার্টের।