শারজা: চেন্নাই সুপার কিংসের (Chennai Super Kings) বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে একা লড়াই করেছিলেন তিনি। জশ হ্যাজলউড-দীপক চাহারদের সামলে ৪৬ বলে ৪৪ রান করেন। তবু দলকে জেতাতে পারেননি। প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তাই মন খারাপ ঋদ্ধিমান সাহার (Wriddhiman Saha)। সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্ট লিখলেন তিনি।


বঙ্গ উইকেটকিপার লিখলেন, 'এই ফল আমরা চাইনি। গত ৬ বছরের মধ্যে এই প্রথম আমরা প্লে অফে উঠতে পারলাম না। তবে আমি নিশ্চিত আবার দুর্দান্তভাবে ফিরে আসবে হায়দরাবাদ।'


ঠিক যেন ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরল বৃহস্পতিবার। ওয়াংখেড়েতে সেদিন ঠিক যেভাবে ছক্কা হাঁকিয়ে দেশকে বিশ্বজয়ের মুহূর্ত উপহার দিয়েছিলেন, তেমনই। শারজায় ছক্কা হাঁকিয়ে সিএসকেকে প্লে অফে তুলে দিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। চেন্নাই ইনিংসের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে সিদ্ধার্থ কৌলের বল গ্যালারিতে ফেললেন। আর সেই সঙ্গেই এবারের আইপিএলে প্রথম দল হিসেবে প্লে অফে উঠে গেল সিএসকে। গত বছর বাদ দিলে ১২ বার অংশগ্রহণ করে এই নিয়ে মোট ১১ রান প্লে অফের টিকিট পাকা করল সিএসকে। অন্যদিকে প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।



বোলাররা অর্ধেক কাজ করেই রেখেছিলেন। মাত্র ১৩৫ রান তাড়া করতে নেমে কোনও ভুল করেনি সিএসকের ওপেনিং জুটি। ঋতুরাজ গায়কোয়াড ও ফাফ ডু প্লেসি জুটি চলতি আইপিএলে ভীষণভাবে সফল। এদিনও ম্যাচের প্রথম ১০ ওভারেই বোর্ডে সত্তরের ওপর রান তুলে দিয়ে দলের জয়ের রাস্তা আরও সহজ করে দিলেন ২ জন। গায়কোয়াড ৩৮ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন। ডু প্লেসিও ৩৬ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন। এই জুটিই মূলত চেন্নাইয়ের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। মাঝে যদিও ম্যাচে কিছুটা রোমাঞ্চ এনে দিয়েছিলেন জেসন হোল্ডার। পরপর ২ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সানরাইজার্সের সম্ভাবনায় পুরো জয় ঢেলে দেন ধোনি। অম্বাতি রায়াডুকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন সিএসকে অধিনায়ক। ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন ধোনি। অন্যদিকে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন রায়াডু।