শারজা: মরুদেশে ব্যাটে-বলে সফল সুনীল নারাইন। ক্যারিবিয়ান তারকার দাপটে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে স্বস্তি ফিরল কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে। ১১ ম্যাচের শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে চার নম্বরে কেকেআর। প্লে অফের দৌড়েও ভালমতোই রইল শাহরুখ খান, জুহি চাওলার দল।


প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি তুলেছিল ১২৭/৯। বল হাতে সফল সুনীল নারাইন। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট। কেকেআর বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কৃপণ ক্যারিবিয়ান বিস্ময় স্পিনারই। শিকারের তালিকায় দিল্লির অন্যতম সেরা ব্যাটার শ্রেয়স আইয়ার। রান তাড়া করতে নেমে কেকেআরের শুরুটা ভাল হয়েছিল। কিন্তু একটা সময় পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় কেকেআর। ১৫ ওভারের শেষে ৯৮/৫ হয়ে যায় স্কোর। ৩০ বলে জেতার জন্য ৩০ রান বাকি ছিল। শারজার উইকেটে যা বেশ কঠিন লক্ষ্য বলেই মনে করা হচ্ছিল।


টানটান পরিস্থিতিতে ব্যাট হাতেও খেলা ঘোরালেন নারাইন। দিল্লির সেরা পেসার কাগিসো রাবাডার এক ওভারে ২১ রান তুললেন। দুটি ছক্কার পাশাপাশি মারলেন একটি চার। ওই একটা ওভারেই ঘুরে গেল ম্যাচ। পরের ২৪ বলে মাত্র ৯ রান দরকার ছিল কেকেআরের। নারাইন ১০ বলে ২১ রান করে আউট হন।


রান পেয়েছেন নীতিশ রানা (৩৬ অপরাজিত), শুভমন গিল (৩০)। দিল্লি বোলারদের মধ্যে ৩ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট আবেশ খানের। তবে এই ম্য়াচ হারলেও সমস্যা হবে না দিল্লির। ঋষভ পন্থদের প্লে অফে ওঠা কার্যত নিশ্চিত।


এমনিতে এবারের আইপিএলে শারজার পিচের চরিত্র বেশ অন্যরকম। শারজা ক্রিকেটবিশ্বে বড় রানের মঞ্চ হিসাবেই পরিচিত। পিচে বোলারদের জন্য প্রায় কিছুই থাকে না। তার ওপর মাঠ ছোট হওয়ায় সহজেই বিগ হিট পেরিয়ে যায় বাউন্ডারি। তবে চতুর্দশ আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে শারজার পিচে বেশি রান উঠছে না। বেশিরভাগ ম্যাচই হচ্ছে লো স্কোরিং। মঙ্গলবারও যার অন্য়থা হল না।