আমদাবাদ: পঞ্জাব কিংসকে হেলায় হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুরুর দিকে পরপর কয়েকটি উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও ২০ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে গেলেন অইন মর্গ্যান-দীনেশ কার্তিকরা। বীর-জারার লড়াইয়ে জিতে আইপিএলের পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বরে উঠে এল কেকেআর।


বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয় হয় পঞ্জাব কিংসের। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র স্কোরে আটকে যায় পঞ্জাব। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বল হাতে দাপট দেখালেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্রিকেটারেরা। প্যাট কামিন্স-প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর পেস জুড়ি হোক বা সুনীল নারাইন-বরুণ চক্রবর্তীর স্পিন ফলা, সোমবার কেকেআর বোলারদের শাসন দেখল আমদাবাদ। নজর কাড়লেন শিবম মাভিও। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচ করে তুলে নিলেন ক্রিস গেলের মহা গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। মাভির বলে কট বিহাউন্ড হন গেল। মাঠের আম্পায়ার তাঁকে নট আউট দিয়েছিল। কেকেআর ডিআরএস নিলে তৃতীয় আম্পায়ার গেলকে আউট ঘোষণা করেন।


৪ ওভারে ২২ রানে ২ উইকেট নেন নারাইন। অনেকদিন পর বল হাতে তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল, উইকেট নিতে পারেন। অ্যাকশন বদলে সোমবার ভাল বল করেন ক্যারিবিয়ান স্পিনার। ৩ ওভারে ৩১ রানে ২ উইকেট নেন কামিন্স। বরুণ চক্রবর্তী ৪ ওভারে দেন ২৪ রান। নেন এক উইকেট।


চলতি আইপিএলে পরপর ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলে সকলের নীচে নেমে গিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সোমবার আমদাবাদের নবনির্মিত নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে পঞ্জাব কিংসকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফের প্লে-অফের দৌড়ে অক্সিজেন পেলেন নাইটরা। পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে কেকেআর। পঞ্জাব কিংসের সঙ্গে কেকেআরের ম্যাচ আইপিএলের ইতিহাসে বরাবরই চিহ্নিত হয়ে এসেছে বীর-জারার দ্বৈরথ হিসাবে। দুই দলের দুই মালিক যে সুপারহিট বীর-জারা সিনেমার প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। শাহরুখ খান ও প্রীতি জিন্টা। মাঠের বাইরে তাঁরা ভীষণ ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আর মাঠে কি না তাঁদেরই দলের সম্মুখসমর! যে যুদ্ধে শেষ হাসি হাসলেন বীর।


১২৪ রানের লক্ষ্য অনায়াসে তাড়া করে ফেলল কেকেআর। শুরুতে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারানোর পরেও রাহুল ত্রিপাঠি (৪১) ও অইন মর্গ্যান (৪৭ অপরাজিত) দলকে ম্যাচ জেতালেন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন মর্গ্যানই।