মুম্বই: করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে উথালপাতাল ভারত। যে কারণে অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত হয়ে গেল আইপিএল। তবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম। কারণ, আইপিএল ভেস্তে যাওয়ায় বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ল বিসিসিআই। অন্তত দু'হাজার টাকা লোকসান হল। ক্ষতির পরিমাণ শেষ হিসেবে আড়াই হাজার কোটি টাকাও হতে পারে।


আর তারই ফাঁকে বোর্ডের উদ্বেগ বেড়েছে বম্বে হাইকোর্টে দায়ের হওয়া একটা জনস্বার্থ মামলায়। মামলাটি করেছেন বন্দনা শাহ নামের এক আইনজীবী। করোনা আবহেও দেশে আইপিএল আয়োজনের জন্য তিনি বোর্ডের কাছে ১ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন! বন্দনা জানিয়েছেন, ক্ষতিপূরণের টাকা সমস্ত সরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার জন্য দান করা হোক।


মঙ্গলবার আইপিএল স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেছে বোর্ড। ভারতীয় বোর্ড থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যরা ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সদস্যরা জরুরিভিত্তিক বৈঠক করে। তাতেই সর্বসম্মতিক্রমে চলতি আইপিএল এখনই স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।' বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ক্রিকেটার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ, এবং আইপিএল আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত কারওই নিরাপত্তা নিয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায় না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সকল অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে ভারতীয় বোর্ডের তরফে। বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, 'খুব কঠিন সময় যাচ্ছে। বিশেষ করে ভারতে। আমরা কিছু অন্তত ইতিবাচক ও আনন্দের মুহূর্ত উপহার দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাধ্য হয়ে টুর্নামেন্ট এখনই স্থগিত করতে হচ্ছে। এই কঠিন সময়ে সকলেই তাঁদের পরিবার ও প্রিয়জনদের কাছে ফিরে যাক।'


সঙ্গে বোর্ডের বিবৃতিতে আশ্বাস, 'ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় গিয়ে চেষ্টা করবে সকল অংশগ্রহণকারী যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে।' সেই সঙ্গে লেখা হয়েছে, 'সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা, ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ, ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষ, স্পনসর, পার্টনার ও সার্ভিস প্রোভাইডার যাঁরা এই কঠিন সময়েও আইপিএল আয়োজন করেছিলেন তাঁদের সকলকে বোর্ডের তরফ থেকে ধন্যবাদ।'


বোর্ডের এক শীর্ষস্থানীয় কর্তা বলেছেন, 'দুই থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা লোকসান হবে। মনে হয় ক্ষতির পরিমাণটা ২২০০ কোটি টাকায় দাঁড়াবে।' আইপিএলে ৬০ ম্যাচের জন্য সমস্ত স্পনসর ও ম্যাচের সম্প্রচারকারী চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তি ছিল বোর্ডের। সেখানে ২৯টি ম্যাচ হওয়ায় চুক্তির অর্ধেক টাকা পাবে বোর্ড।