চেন্নাই: সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ১৩ রানে হারিয়ে দিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। লো স্কোরিং ম্যাচে ২২ বলে ৩৫ রান করে ম্যাচের সেরা হলেন কায়রন পোলার্ড। দারুণ শুরু করেও এক সময় একের পর এক উইকেট হারিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তবু শেষ পর্যন্ত সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ভদ্রস্থ স্কোর তোলে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তোলে ৫ উইেকেট বিনিময়ে দেড়শো রান। আর ব্যাট হাতে লড়াই করে দলকে ভাল জায়গায় রাখেন কায়রন পোলার্ড। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২২ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা অলরাউন্ডার। পোলার্ডের ইনিংসে ছিল ১ টি চার ও ৩টি বিশাল ছক্কা। যার মধ্য়ে মুম্বই ইনিংসের শেষ দুই বলে পরপর ছক্কা মারেন পোলার্ড। এদিন তিনি টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় ছক্কাটিও মারেন। তাঁর একটি ছয় ১০৫ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। সেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের রান তাড়া করতে নেমে শনিবার ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জনি বেয়ারস্টো। মাত্র ২২ বলে ৪৩ রান করে গেলেন ইংল্যান্ডের তারকা। যিনি এদিন অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নেমেছিলেন। বেয়ারস্টোর ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও চারটি বিশাল ছক্কা। তবু শেষরক্ষা হল না হায়দরাবাদের। প্রায় হাতের মুঠোয় থাকা ম্য়াচ হেরেই বসলেন ওয়ার্নাররা। চলতি আইপিএলে হারের হ্যাটট্রিক হয়ে গেল হায়দরাবাদের। ১৩ রানে ম্যাচ জিতল মুম্বই।
দুরন্ত ইনিংস খেলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হলেন বেয়ারস্টো। হিট উইকেট হয়ে যান তিনি। তাঁর আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন ভাগ্য়ও ছেড়ে গেল হায়দরাবাদকে। দুটি রান আউট আর একটি হিট উইকেটেই হায়দরাবাদের স্বপ্নের সমাধি। মুম্বইয়ের ১৫০/৫ তাড়া করতে নেমে ১৩৭ রানে অল আউট হয়ে গেল হায়দরাবাদ। ১৯.৪ ওভারে। মুম্বইয়ের হয়ে তিনটি করে উইকেট রাহুল চাহার ও ট্রেন্ট বোল্টের।
তার আগে শনিবার টস জিতে প্রথমে ব্য়াটিং করার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি ও কুইন্টন ডি'কক মিলে দ্রুত পঞ্চাশ রান যোগ করেন। ৬.৩ ওভারে দলের ৫৫ রানের মাথায় আউট হয়ে যান রোহিত। ২৫ বলে ৩২ রান করেন তিনি। রোহিতের ইনিংসে ছিল দুটি চার ও দুটি ছক্কা। ডি'কক ৩৯ বলে ৫টি চার মেরে ৪০ রান করে আউট হন। তবে দুই ওপেনার ফেরার পরই ব্যাটিং ধস নামে মুম্বইয়ের। পরপর ফিরে যান সূর্যকুমার যাদব (৬ বলে ১০ রান), ঈশান কিষাণ (২১ বলে ১২ রান) ও হার্দিক পাণ্ড্য (৫ বলে ৭ রান)। শেষের দিকে ৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন ক্রুণাল পাণ্ড্য। মুম্বইয়ের হয়ে যেটুকু পাল্টা লড়াই করার, পরের দিকে করেন পোলার্ড।
সানরাইজার্স বোলারদের মধ্যে বিজয় শঙ্কর ৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। দু'উইকেট নিয়েছেন মুজিব উর রহমানও। তবে এদিন মার খেয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার। ৪ ওভারে ৪৫ রান খরচ করে কোনও উইকেট পাননি তিনি। টি নটরাজনের বদলে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়ে খলিল আমেদ এক উইকেট নিয়েছেন। প্রত্যাশামতোই এদিন ঋদ্ধিমান সাহাকে প্রথম একাদশে রাখেনি হায়দরাবাদ। তাঁদের হয়ে উইকেটকিপিং করেন জনি বেয়ারস্টো। কম রানের ম্যাচে ফের চাপ কাটিয়ে জয়ী মুম্বই।