চেন্নাই: মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের রান তাড়া করতে নেমে শনিবার ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জনি বেয়ারস্টো। মাত্র ২২ বলে ৪৩ রান করে গেলেন ইংল্যান্ডের তারকা। যিনি এদিন অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নেমেছিলেন। বেয়ারস্টোর ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও চারটি বিশাল ছক্কা। ট্রেন্ট বোল্টকে লং অফের ওপর দিয়ে এমন একটা ছক্কা মারলেন যে মাঠের বাইরে একটি রেফ্রিজারেটরের কাচ ভেঙে গেল।


কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হলেন বেয়ারস্টো। যা নিয়ে চলল চর্চা। কীভাবে আউট হলেন তিনি? মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বাঁহাতি স্পিনার ক্রুণাল পাণ্ড্যর বলে স্লগ সুইপ মারতে গিয়েছিলেন। কিন্তু এতটাই ব্যাটিং ক্রিজের ভিতরে ঢুকে গিয়েছিলেন বেয়ারস্টো যে, তাঁর জুতো গিয়ে ধাক্কা দেয় স্টাম্পসে। পড়ে যায় বেল। হিট উইকেট হয়ে যান বেয়ারস্টো। তাঁর আউট হওয়ার ধরন দেখে হতবাক সকলে।



তার আগে দারুণ শুরু করেও পরের দিকে একের পর এক উইকেট হারিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তবু শেষ পর্যন্ত সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ভদ্রস্থ স্কোর তুলল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তুলল ৫ উইেকেট বিনিময়ে দেড়শো রান। আর ব্যাট হাতে লড়াই করে দলকে ভাল জায়গায় রাখলেন কায়রন পোলার্ড। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২২ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত রইলেন ক্যারিবিয়ান তারকা অলরাউন্ডার। পোলার্ডের ইনিংসে ছিল ১ টি চার ও ৩টি বিশাল ছক্কা।


শনিবার টস জিতে প্রথমে ব্য়াটিং করার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি ও কুইন্টন ডি'কক মিলে দ্রুত পঞ্চাশ রান যোগ করেন। ৬.৩ ওভারে দলের ৫৫ রানের মাথায় আউট হয়ে যান রোহিত। ২৫ বলে ৩২ রান করেন তিনি। রোহিতের ইনিংসে ছিল দুটি চার ও দুটি ছক্কা। ডি'কক ৩৯ বলে ৫টি চার মেরে ৪০ রান করে আউট হন। তবে দুই ওপেনার ফেরার পরই ব্যাটিং ধস নামে মুম্বইয়ের। পরপর ফিরে যান সূর্যকুমার যাদব (৬ বলে ১০ রান), ঈশান কিষাণ (২১ বলে ১২ রান) ও হার্দিক পাণ্ড্য (৫ বলে ৭ রান)। শেষের দিকে ৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন ক্রুণাল পাণ্ড্য। মুম্বইয়ের হয়ে যেটুকু পাল্টা লড়াই করার, পরের দিকে করেন পোলার্ড।


সানরাইজার্স বোলারদের মধ্যে বিজয় শঙ্কর ৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। দু'উইকেট নিয়েছেন মুজিব উর রহমানও। তবে এদিন মার খেয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার। ৪ ওভারে ৪৫ রান খরচ করে কোনও উইকেট পাননি তিনি। টি নটরাজনের বদলে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়ে খলিল আমেদ এক উইকেট নিয়েছেন। প্রত্যাশামতোই এদিন ঋদ্ধিমান সাহাকে প্রথম একাদশে রাখেনি হায়দরাবাদ। তাঁদের হয়ে উইকেটকিপিং করেন জনি বেয়ারস্টো। কম রানের ম্যাচে ফের কি হাড্ডাহাড্ডি একটি লড়াই অপেক্ষা করে রয়েছে?