চেন্নাই: আইপিএলে বড় অঘটন। শক্তিশালী মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ৯ উইকেটে উড়িয়ে দিল পঞ্জাব কিংস। সেই সঙ্গে প্লে-অফের দৌড়ে ফের ঢুকে পড়ল পঞ্জাব। আর ব্যাট হাতে দলের জয়ের নায়ক অধিনায়ক কে এল রাহুল ও ক্রিস গেল। মুম্বইয়ের ১৩১ রান তাড়া করতে নেমে ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি করলেন রাহুল। শুধু তাই নয়, দলকে ম্য়াচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন। ৫২ বলে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরে ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন রাহুল। গেলও ছিলেন মেজাজে। শুরুর দিকে দেখে খেলছিলেন। পরে হাত খোলেন। ৩৫ বলে ৫টি চার ও ২ ছক্কা মেরে ৪৩ রান করেন ক্যারিবিয়ান তারকা। ২.২ ওভার বাকি থাকতে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পঞ্জাব।
গতবারের আইপিএলে ১৪ ম্য়াচ খেলে ১২ উইকেট নিয়েছিলেন। ইকনমি রেট ছিল ঈর্ষণীয়। প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ, লেগস্পিনার রবি বিষ্ণোইয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন সকলে। চলতি আইপিএলে পঞ্জাব কিংসের প্রথম একাদশে সুযোগ পাচ্ছিলেন না রাজস্থানের লেগস্পিনার। শুক্রবার তাঁকে খেলিয়েছে পঞ্জাব। আর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে দু উইকেট তুলে নেন। তাঁর সাফল্যের ঝুলিতে সূর্যকুমার যাদব ও ঈশান কিষাণের উইকেট। বল হাতে সফল মহম্মদ শামিও। গতির আগুন ছোটান। ডেথ ওভারে দেন একের পর এক নিখুঁত ইয়র্কার। যার জেরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ইনিংসের শেষ চার ওভারে ওঠে মাত্র ২৬ রান। হারাতে হয় ৪ উইকেট। শামিও ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচ করে তুলে নেন রোহিত শর্মা ও ক্রুণাল পাণ্ড্যর উইকেট। পঞ্জাব বোলারদের দাপটের দিন পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নদের ব্যাটিং বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয়। নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ১৩১ রানে আটকে যায় মুম্বই। ৬ উইকেটের বিনিময়ে।
চেন্নাইয়ের এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামের পিচ এবার বেশ মন্থর। বল পড়ে ভালভাবে ব্যাটে আসছে না বলে স্ট্রোক খেলা বেশ কঠিন। যে কারণে সমস্যায় পড়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটিং। দলে রোহিত শর্মা, হার্দিক পাণ্ড্য, কায়রন পোলার্ডের মতো একের পর এক বিগহিটার। তবু ওভার প্রতি ৭ রান করেও তুলতে পারেনি মুম্বই।
ব্যাটসম্যানদের নিষ্প্রভ থাকার দিন একমাত্র লড়াই করেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক। হিটম্যান রোহিত শর্মা ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৫২ বলে ৬৩ রান করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৫ চার ও ২টি ছক্কা। তবু অন্যান্য ইনিংসের মতো বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন না তিনি। বেশ ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয় তাঁকে। তিনি ছাড়া ব্যাট হাতে কিছুটা লড়াই করেন সূর্যকুমার। ২৭ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কা মেরে ৩৩ রান করেন তিনি। এ ছাড়া আর কেউই বলার মতো কিছু করেননি।
রান তাড়া করতে নেমে রাহুল ও ময়ঙ্ক অগ্রবালের (২০ বলে ২৫ রান) জুটি ৫৩ রান যোগ করে। সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে দলকে জয় এনে দিলেন রাহুল ও গেল।