শারজা: আউট হয়ে আচমকাই মেজাজ হারালেন আর অশ্বিন (R Ashwin)। রীতিমতো তেড়ে গেলেন টিম সাউদির (Tim Southee) দিকে। কোনওমতে দুজনকে ক্ষান্ত করলেন দীনেশ কার্তিক। কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। এরপর অইন মর্গ্যান পাল্টা চার কথা শোনালেন অশ্বিনকে। আম্পায়ারদের এসে পরিস্থিতি সামাল দিতে হল। মাঠে নেমে পড়লেন উত্তেজিত রিকি পন্টিংও।
মঙ্গলবার এমনই ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচ। দুই দলের যুদ্ধের আঁচ পড়ল ক্রিকেটারদের মধ্যেও।
ঘটনাটি দিল্লি ইনিংসের শেষ ওভারে। সাউদির শর্ট বল পুল করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেট বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন অশ্বিন। পরে রিপ্লেতে দেখা যায়, তাঁকে উদ্দেশ্য করে কিছু একটা বলেছিলেন সাউদি। তাতেই সম্ভবত মেজাজ হারান অশ্বিন। তিনি তেড়ে যান কিউয়ি পেসারের দিকে। যিনি মঙ্গলবারই কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে প্রথম ম্য়াচ খেলছেন। কেকেআর কিপার দীনেশ কার্তিক গিয়ে দুজনকে শান্ত করেন। কিন্তু এরপর নাইট নেতা মর্গ্যান কিছু বলেন অশ্বিনকে। দুজনের মধ্যে বাগযুদ্ধ হয়।
দিল্লির ইনিংসের শেষে কোচ রিকি পন্টিং, অশ্বিন ও সহকারী কোচ মহম্মদ কাইফকে দেখা যায় আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলতে। দৃশ্যতই অখুশি ছিলেন তামিলনাড়ুর অফস্পিনার। ম্যাচ রেফারি এই ঘটনয়ার কোনও ব্যবস্থা নেন কি না, সেটাই দেখার।
ম্যাচ শুরুর আগেই ধাক্কা খেয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের জন্য খেলতে পারেননি দলের সেরা অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু তারপরেও দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে স্বস্তিতে কেকেআর। কারণ, বল হাতে দাপট দেখালেন নাইট বোলাররা। প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি ক্যাপিটালস আটকে গেল ১২৭/৯ স্কোরে।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন কেকেআর অধিনায়ক অইন মর্গ্যান। তাঁর সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করলেন নাইট বোলাররা। শুরু থেকে ছিল কেকেআর বোলারদের দাপট।
এমনিতে এবারের আইপিএলে শারজার পিচের চরিত্র বেশ অন্যরকম। শারজা ক্রিকেটবিশ্বে বড় রানের মঞ্চ হিসাবেই পরিচিত। পিচে বোলারদের জন্য প্রায় কিছুই থাকে না। তার ওপর মাঠ ছোট হওয়ায় সহজেই বিগ হিট পেরিয়ে যায় বাউন্ডারি। তবে চতুর্দশ আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে শারজার পিচে বেশি রান উঠছে না। বেশিরভাগ ম্যাচই হচ্ছে লো স্কোরিং। মঙ্গলবারও যার অন্য়থা হল না।
দিল্লির শুরুটা অবশ্য ভাল হয়েছিল। রান পেয়েছেন দুই ওপেনার স্টিভ স্মিথ (৩৪ বলে ৩৯ রান) ও শিখর ধবন (২০ বলে ২৪ রান) সফল। পৃথ্বী শ-র পরিবর্তে এদিন স্মিথকে খেলায় দিল্লি। তবে পরের দিকে নিয়মিত উইকেট হারায় দিল্লি। মিডল অর্জারে একমাত্র অধিনায়ক ঋষভ পন্থ (৩৬ বলে ৩৯ রান) ছাড়া আর কেউই রান পাননি।