গুয়াহাটি: বুধবার সাতসকালে অসমে ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.৪। তারপর আফটার শকে বারবার কেঁপে উঠল পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা। ভূমিকম্পের উৎসস্থল শোনিতপুর জেলা। হয়েছে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। আইপিএল খেলার ফাঁকে যে খবর শুনে বিষণ্ণ রাজস্থান রয়্যালসের তারকা রিয়ান পরাগ। যিনি নিজে অসমের ক্রিকেটার। এবং রাজ্যের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে তিনি শুধু আইপিএল খেলছেনই না, রীতিমতো দাপট দেখাচ্ছেন। রিয়ান ট্যুইটারে ভূকম্পনের ফলে অসমের ধ্বংসের একটি ছবি শেয়ার করলেন। সঙ্গে লিখলেন, 'অসমের সমস্ত মানুষের পাশে আছি। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই রিখটার স্কেলে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প, সঙ্গে পরপর তিনটি আফটার শক। আসুন এই বিপর্যয়ের মধ্যে সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকি।'
বুধবার সকালের ভূমিকম্পে কাঁপল উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলাও। আজ সকাল ৭.৫৪ নাগাদ এই কম্পন অনুভূত হয়। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ভূমিকম্পের উত্সস্থল অসমের শোনিতপুর। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। অসমের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে খবর। তবে উত্তরবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই।
করোনা আবহেই বুধবার সকালে ছড়িয়ে পড়ে অসমে ভূমিকম্পের খবর। বুধবার সকাল ৭.৫৩ নাগাদ কেঁপে উঠল বাংলাও। উত্তরবঙ্গে ও কলকাতাতেও অনুভূত হয় কম্পন। কম্পনের উপকেন্দ্র অসমের তেজপুর। জানা গিয়েছে, গুয়াহাটি থেকে ১৬০ কিমি উত্তর পূর্বে উপকেন্দ্র। রিখটার স্কেলে মাত্রা ৬.৪। প্রায় ২৭ সেকেন্ড কলকাতায় স্থায়িত্ব হয়েছিল কম্পন। ইয়োসিন হিঞ্জরেখা বরাবর হওয়ায় কম্পনের প্রভাব পড়েছে কলকাতায়, মত বিজ্ঞানীদের। যদিও যে এলাকা জুড়ে ভূমিকম্প হল তা দুর্বল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরমের দাবদাহে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়েছে গোটা উত্তর ভারতে। এদিকে উত্তর পূর্বে বৃষ্টিপাত হওয়ায় চ্যুতিরেখা বরাবর উষ্ণতার ব্যাপক তারতম্য হয়েছে। আর সেই কারণেই এই ভূমিকম্প বলে জানালেন তিনি। হিঞ্জরেখার উপরেই অবস্থিত কলকাতা। যে কারণে কলকাতাতেও মৃদু কম্পন টের পাওয়া যায়। হিঞ্জরেখা বরাবর কম্পন ভবিষ্যতে ফের হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।