মুম্বই: আইপিএলে ফের হার কেকেআরের। ৫ ম্যাচের মধ্যে ৪টিতেই হেরে গেল শাহরুখ খান-জুহি চাওলার দল। শনিবার রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হেরে পয়েন্ট টেবিলের একেবারে নীচে নেমে গেল কেকেআর। ৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট মাত্র ২!


শনিবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিল রাজস্থান। ১৩৩/৯ স্কোর তাড়া করতে নেমে ৭ বল বাকি থাকতে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে রান তুলে নেয় রাজস্থান। ব্যাট হাতে ৪১ বলে অপরাজিত ৪২ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন সঞ্জু স্যামসন। ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এছাড়া রান পেয়েছেন যশস্বী জয়সবাল (১৭ বলে ২২ রান), শিবম দুবে (১৮ বলে ২২) ও ডেভিড মিলার (২৩ বলে অপরাজিত ২৪ রান)। ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের ৬ নম্বরে উঠে এল রাজস্থান।


শনিবার ফের পাওয়ার প্লে-র সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ কলকাতা নাইট রাইডার্স। যে কারণে ফের চাপ বাড়ে মিডল অর্ডারের ওপর। ভুগতে হয় কেকেআরকে। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে শাহরুখ খানের নাইটরা আটকে গিয়েছিল মাত্র ১৩৩/৯ স্কোরে। কেকেআরের কম রানের পর ফের কাঠগড়ায় পাওয়ার প্লে-তে নিষ্প্রভ ব্যাটিং। যা প্রায় প্রত্যেক ম্যাচে কেকেআরের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম ৬ ওভার পাওয়ার প্লে এবং সেই সময় ফিল্ডিংয়ের বিধিনিষেধকে কাজে লাগিয়ে ব্যাটিং দল আক্রমণাত্মক শট খেলে শুরুতেই যতটা সম্ভব রান তুলে নেয়। সেখানে শনিবার প্রথম ৬ ওভারে কেকেআর তুলল এক উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৫ রান। অর্থাৎ ওভার প্রতি চার রান উঠল। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখনকার দিনে অচল। সেই যে চাপ তৈরি হল ব্য়াটিংয়ের ওপর, তা আর কাটিয়ে উঠতে পারেননি নাইটরা।


পাশাপাশি বল হাতে দাপট দেখালেন ক্রিস মরিস। ডেথ ওভারে চার উইকেট তুলে নিলেন রাজস্থানের তারকা অলরাউন্ডার। সাড়ে ১৬ কোটি টাকা দিয়ে যাঁকে নিলাম থেকে কিনেছিল রাজস্থান। তাঁর দাম নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল। রাজস্থান টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত একটি ম্যাচ জিতেছে আর সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে জিতিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা অলরাউন্ডারই। শনিবার বল হাতে তিনি ফের দেখিয়ে দিলেন, কেন তাঁকে নিয়ে এত আগ্রহী ছিল রাজস্থান। ৪ ওভারে ২৩ রানে ৪ উইকেট নেন মরিস।


কেকেআর ব্যাটসম্য়ানদের মধ্যে ব্যাট হাতে লড়াই করেন রাহুল ত্রিপাঠি। ২৬ বেল ৩৬ রান করেন তিনি। ইনিংসে ১টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন রাহুল। পরের দিকে দীনেশ কার্তিক ২৪ বলে ৪টি চার মেরে ২৫ রান করেন। বাকি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আর কেউই বলার মতো রান পাননি। আগের ম্যাচে দুরন্ত ব্যাটিং করা আন্দ্রে রাসেল ৯ ও প্যাট কামিন্স ১০ রানে আউট হন। দুজনকেই ফেরান মরিস। তিনিই ম্যাচের সেরা হয়েছেন।