দুবাই: ধারাভাষ্যকারেরা ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না। দর্শকদের ঘোর কাটছে না। দুই দলের ক্রিকেটারেরা? তাঁরাও কি সঠিক কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পেয়েছেন যে, কীভাবে এই ম্যাচে হেরে যেতে পারে পঞ্জাব কিংস (Punjab Kings)?
মঙ্গলবার মহানাটকীয় ম্যাচের সাক্ষী রইল দুবাই। ১৯ ওভার পর্যন্ত পিছিয়ে থাকার পর দুরন্ত শেষ ওভারে সব হিসেব বদলে দিল রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals)। মাত্র ২ রানে প্রীতি জিন্টার দলকে হারিয়ে দিলেন সঞ্জু স্যামসনরা। সেই সঙ্গে যেন ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল যে, ক্রিকেট যদি মহান অনিশ্চয়তার খেলা হয়, তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সেই আপ্তবাক্যের সেরা বিজ্ঞাপন।
ম্যাচ জেতার জন্য ১৮৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমে ওপেনিং পার্টনারশিপে ১২০ রান তুলল পঞ্জাব কিংস। ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরি করলেন ময়ঙ্ক অগ্রবাল। ৪৩ বলে ৬৭ রান করলেন কর্নাটকের ব্যাটসম্যান। হাফসেঞ্চুরির মাত্র এক রান আগে থামতে হয় কে এল রাহুলকে। ৪৯ রান করেন পঞ্জাব অধিনায়ক। দুই ওপেনার ফেরার পরেও এইডেন মারক্রাম (অপরাজিত ২৬ রান) ও নিকোলাস পুরান (২২ বলে ৩২ রান) ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতেই রেখেছিলেন।
শেষ ২ ওভারে ম্য়াচ জিততে পঞ্জাবের দরকার ছিল ৮ রান। ১৯ তম ওভারে মাত্র ৪ রান খরচ করেন রাজস্থান পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম দুই বলে কোনও রান দেননি। পরের চার বলে চারটি সিঙ্গলস দেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য পঞ্জাবের দরকার ছিল ৪ রান। মনে করা হচ্ছিল বড় শট মেরে খেলা শেষ করবেন ব্যাটসম্যান। সকলে ধরেই নিয়েছিলেন যে, ম্যাচ হারতে চলেছে রাজস্থান। কিন্তু অন্যরকম ভেবেছিলেন কার্তিক ত্যাগী।
শেষ ওভারে মাত্র এক রান খরচ করেন ত্যাগী! ফিরিয়ে দেন ভয়ঙ্কর নিকোলাস পুরান ও দীপক হুডাকে। অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচ জিতে যায় রাজস্থান। মাত্র ২ রানে। ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন কার্তিক ত্যাগী।