নয়াদিল্লি: করোনার ধাক্কায় আইপিএল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কয়েকজন জানিয়েছেন যে, টুর্নামেন্ট মাঝপথে দিল্লি ও আমদাবাদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের জন্যই সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে আরও বড় বিস্ফোরণ ঘটালেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ফিল্ডিং কোচ জেমস প্যামেন্ট। জানিয়ে দিলেন, ভারতের সিনিয়র ক্রিকেটারদের জৈব সুরক্ষা বলয়ের কড়াকড়ি পছন্দ ছিল না!
অংশগ্রহণকারী আট দলের মধ্যে চার দলে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। কলকাতা নাইট রাইডার্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, দিল্লি ক্যাপিটালস ও চেন্নাই সুপার কিংসে এক বা একাধিক ক্রিকেটার বা সাপোর্ট স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যে ঘটনা প্রকাশ্য়ে আসার পর বলাবলি শুরু হয় যে, জৈব সুরক্ষা বলয়ের নিয়ম সকলে কী সমানভাবে মেনেছিলেন?
এই পরিস্থিতিতেই প্রশ্ন আরও তীব্র হয়ে গেল মুম্বই শিবিরের এক সহকারী কোচের কথায়। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ফিল্ডিং কোচ সরাসরি কারও নাম না করেও জানালেন যে, জৈব সুরক্ষা বলয়ের কঠোর বিধিনিষেধ মানা নিয়ে কয়েকজন সিনিয়র ভারতীয় ক্রিকেটারের গড়িমসি ছিল। প্য়ামেন্ট বলেছেন, 'ভারতের কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারের এত বিধিনিষেধ বা যা করতে বলা হচ্ছিল তা পছন্দ ছিল না। কিন্তু আমরা নিরাপদ বোধ করেছি এবং কখনওই মনে হয়নি কেউ বাবল ভেঙেছে বলে। তবে এক শহর থেকে অন্য শহরে যাওয়াটাই চ্যালেঞ্জ ছিল।'
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে রয়েছেন রোহিত শর্মা। সিনিয়রদের মধ্যে হার্দিক পাণ্ড্য, যশপ্রীত বুমরা-রাও আছেন। তা হলে কি তাঁদের দিকেই ইঙ্গিত করলেন ফিল্ডিং কোচ? ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল ভারত। স্থগিত করে দিতে হয়েছে আইপিএল। ২৯টি ম্যাচ খেলা হওয়ার পর। আইপিএল-এর বাকি অংশ ভারতে হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। করোনার ধাক্কায় আইপিএল মাঝপথেই স্থগিত হওয়ার পর থেকেই টুর্নামেন্ট শেষ করার জন্য উপযুক্ত সময়ের খোঁজে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
মুস্তাফিজুরকে বদলে দেওয়া কলকাতার কোচ অর্থাভাবে মোবাইল ফোনের ব্য়বসাও করেছেন