লন্ডন: করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জেরে স্থগিত হয়ে গিয়েছে আইপিএল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে চলতি বছরের কোনও একটা সময় টুর্নামেন্টের বাকি ৩১টি ম্যাচ আয়োজন করার। তবে আইপিএলের বাকি অংশ করা সম্ভব হলেও কি পূর্ণ শক্তি নিয়ে নামতে পারবে দলগুলি?


আইপিএলের বাকি অংশ করা সম্ভব হলেও সেখানে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের না-ও দেখা যেতে পারে। অর্থাৎ, কলকাতা নাইট রাইডার্স হয়তো মাঠে নামল। কিন্তু দেখা গেল না তাদের অধিনায়ক অইন মর্গ্যানকেই। প্লে অফের অঙ্ক কষবেন কী, শাহরুখ খান-জুহি চাওলার দলের টিম ম্যানেজমেন্টকে তখন ভাবতে বসতে হবে মর্গ্যানের পরিবর্তে কে দলকে নেতৃত্ব দেবেন, সেই জটিল ধাঁধার সমাধানসূত্র নিয়ে। একইভাবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ নাও পেতে পারে বিধ্বংসী ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে। ততদিনে সেরে উঠলেও রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে মাঠে নাও দেখা যেতে পারে অলরাউন্ডার বেন স্টোকস বা পেসার জোফ্রা আর্চার কিংবা জস বাটলারকে।


কিন্তু কেন?


কারণ, ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, পরবর্তী সময়ে আইপিএলের বাকি অংশ খেলা হলে তারা ক্রিকেটারদের না-ও ছাড়তে পারে। কারণ, বছরের বাকি সময়ে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের ঠাসা সূচি রয়েছে। জুন মাসে নিউজ়িল্যান্ডের সঙ্গে ইংল্যান্ডের টেস্ট সিরিজ রয়েছে এবং এর আগে পর্যন্ত যা ঠিক ছিল, তাতে আইপিএল পুরো খেলা হলে সেই সিরিজের শুরুর দিকে কয়েকজন ক্রিকেটারকে পেত না ইংল্যান্ড। অসুবিধা হলেও সেটা মেনে নিয়েছিল ইংল্যান্ড ও ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডের পুরুষদের ক্রিকেট দলের ডিরেক্টর তথা প্রাক্তন স্পিনার অ্যাশলে জাইলস জানিয়েছেন, পরবর্তী সময়ে আইপিএলের বাকি অংশ হলে আর কোনও প্লেয়ারকে ছাড়া না-ও হতে পারে।


ভারতীয় বোর্ড সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি অর্থাৎ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বা নভেম্বর মাসের মধ্যে অর্থাৎ বিশ্বকাপের পরের সময়ে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুল হতে পারে। কিন্তু ওই দুই মাসেই ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের খেলা রয়েছে। আগামী বছরের মার্চ মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর সেষ না হওয়া পর্যন্ত ঠাসা ক্রীড়াসূচি ইংল্যান্ডের এবং সেই কারণে ক্রিকেটার ছাড়া নিয়ে জটিলতা রয়েছে।


তাই আইপিএল হলেও সেখানে স্টোকস বনাম কোহলি দ্বৈরথ না দেখার সম্ভাবনাই ক্রমশ গাঢ় হচ্ছে।