আবু ধাবি: কেউ কেউ বলছেন, পচা শামুকে পা কাটল বিরাট কোহলিদের। কারণ, বুধবার আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরকে ৪ রানে হারিয়ে বড়সড় চমক দিল পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ফলে পয়েন্ট টেবিলের প্রথম দুই দলের মধ্যে থেকে প্লে অফে পৌঁছনোর কোহলিদের স্বপ্ন জোরাল ধাক্কা খেল। ১৩ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরেই থাকলেন কোহলিরা।
এক দলের প্লে অফের যোগ্যতা অর্জন আগেই হয়ে গিয়েছে। অন্য দল প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে। বুধবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ম্যাচ সেই অর্থে ছিল কার্যত নিয়মরক্ষার। তবে বিরাট কোহলিদের সামনে এই ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের ওপরের দিকে উঠে আসার সুযোগ ছিল। পয়েন্ট টেবিলে আপাতত কোহলিরা আছেন তিন নম্বরে। প্রথম দুইয়ে শেষ করতে পারলে কোয়ালিফায়ার ওয়ান খেলা যাবে। যার অর্থ, সেই ম্যাচ জিতলেই সরাসরি ফাইনালে। আর হারলেও কোয়ালিফায়ার টু খেলে ফের একবার ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ। যা কোনও দলই হাতছাড়া করতে চাইবে না।
বুধবারের ম্যাচে শুরু থেকে দাপট দেখান আরসিবি বোলাররা। তবে তারই মধ্যে ব্যাট হাতে লড়াই করলেন জেসন রয়। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ড্যান ক্রিশ্চিয়ানের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হওয়ার আগে যিনি ৩৮ বলে ৪৪ রান করে গেলেন। পাঁচটি চার মেরেছেন ইংরেজ তারকা। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে বুধবার সর্বোচ্চ স্কোরার তিনিই।
এদিন বাংলার ঋদ্ধিমান সাহাকে দিয়ে ইনিংস ওপেন করায়নি হায়দরাবাদ। কেন উইলিয়ামসনের দলের হয়ে তাই জেসন রয়ের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করেন অভিষেক শর্মা। তবে রান পাননি তিনি। ১০ বলে ১৩ রান করে আউট হয়ে যান। তিন নম্বরে নেমে ২৯ বেল ৩১ রান করেন কেন। চারটি চার মেরেছেন কিউয়ি তারকা। শেষের দিকে জেসন হোল্ডার (১৩ বলে ১৬ রান) ছাড়া ব্যাট হাতে আর কেউই নজর কাড়তে পারেননি। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে হায়দরাবাদ তুলল ১৪১/৭। ঋদ্ধি ৮ বলে করেন ১০ রান।
ঋদ্ধির রান না পাওয়ার দিন অবশ্য নজর কাড়লেন বাংলার আর এক ক্রিকেটার। শাহবাজ আমেদ। বাঁহাতি স্পিনার শাহবাজ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ৪ ওভার বল করলেন। কোনও উইকেট পাননি। তবে খরচ করলেন মাত্র ২১ রান। তিন উইকেট হর্ষল পটেলের।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩৭/৬ স্কোরে আটকে যায় আরসিবি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২৫ বলে ৪০ রান করে রান আউট হয়ে যান। সেখানেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। রান পাননি কোহলি। দেবদত্ত পড়িক্কল ৫২ বলে ৪১ রান করেন।