দুবাই: দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে আমিরশাহিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচ। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে যদিও বড় স্কোর বোর্ডে তুলতে পারল না সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। টপ অর্ডার ব্যর্থ। ব্যর্থ ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসনও। তবে লোয়ার অর্ডারে কিছুটা চালিয়ে খেলে স্কোরবোর্ডে সম্মানজনক স্কোর তুলে দিলেন আবদুল সামাদ ও রশিদ খান।


এদিন দুবাইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ওপেনিংয়ে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে নেমেছিলেন বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা। নর্টজের বলে প্রথম উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। ওয়ার্নার ফেরেন খাতা খোলার আগেই। ক্যাপ্টেন কেন ক্রিজে আসার পর হাত খুলে খেলার চেষ্টা করছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। কিন্তু ১৭ বলে ১৮ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ঋদ্ধি। তবে ২টো বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। কেন এদিন একটু মন্থর খেলে ২৬ বলে ১৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। রান পেলেন না মণীশ পাণ্ডে (১৭) ও কেদার যাদবও (৩)। ৭৪ রান বোর্ডে তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে সানরাইজার্স। 


এরপর যদিও লোয়ার অর্ডারে আবদুল সামাদ ও রশিদ খান মিলে দলের হাল ধরেন। ২ জনেই চালিয়ে খেলার পন্থা বেছে নেন। ২টো বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২১ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলেন সামাদ। যদিও রাবাদার শিকার হন তিনি। স্লোয়ার ডেলিভারিতে পন্থের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। রশিদও ১৯ বলে ২২ রান করে দলকে টানছিলেন। তবে হঠাৎই রান আউট হয়ে যান। শেষ। পর্যন্ত নির্দারিত ২০ ওভারে ৯উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১৩৪ রান তুলতে সক্ষম হয় সানরাইজার্স। দিল্লি বোলারদের মধ্যে এদিন সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা। এছাড়াও আনরিচ নর্টজে ও আবেশ খান।


এদিকে বুধবার ম্যাচ শুরুর আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের টি নটরাজন। করোনা আক্রান্ত নটরাজনের সংস্পর্শে আসা ৬ প্লেয়ারকে আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজয় শঙ্কর। এছাড়াও বাকিরা হলেন টিম ম্যানেজার বিজয় কুমার, ফিজিও শ্যাম সুন্দর, টিম ডাক্তার অঞ্জনা, লজিস্টিক ম্যানেজার তুষার খেড়কর ও নেট বোলার পি গণেশন। প্রত্যেকেই এই মুহূর্তে আইসোলেশনে রয়েছেন।